ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাসপদুয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত মো. ইয়াছিন লিটনের (৩২) মরদেহ ২৫ জুলাই (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে ২২ ঘণ্টা পর বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতের বিলোনিয়া থানার ওসি শিব রঞ্জন দে-এর নেতৃত্বে মরদেহটি পরশুরাম মডেল থানার ওসি নুরুল হাকিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বিলোনিয়া সীমান্তের ২১৬৬ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার এলাকায়।
এর আগে সন্ধ্যায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন এবং বিএসএফের পক্ষে ছিলেন ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এ এস বিরেন্দ্র শীল।
পরিবারের অভিযোগ নিহত লিটন ও মিল্লাতের পরিবারের দাবি, “তারা কোনো অপরাধে জড়িত ছিল না। তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।”
সীমান্তে বারবার গুলিবর্ষণ এবং মরদেহ ভারতে পড়ে থাকা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোরে গুথুমা বিওপির আওতাধীন ২১৬৪/৩-এস সীমান্ত পিলার এলাকায় বিএসএফ গুলি চালায়। এতে মিল্লাত হোসেন (২১) গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে ফেনী সদর হাসপাতালে মারা যান। গুলিতে আহত হন মো. আফছার (৩১), তিনি বর্তমানে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত লিটনের মরদেহ গুলিবর্ষণের পর সীমান্তের ওপারে ভারতে পড়ে থাকে