শরীর সুস্থ রাখতে সব ধরনের ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ, সি বা ডি সম্পর্কে আমরা সচেতন থাকলেও ‘ভিটামিন বি১২’ সম্পর্কে অনেকেই কম জানি। অথচ শরীরের জন্য এই ভিটামিন অপরিহার্য। রক্তের গঠন ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতার জন্য এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
মানবদেহে নিজে থেকে ভিটামিন বি১২ তৈরি হয় না। খাবার কিংবা ফুড সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে এটি তৈরি হয়। বিশেষ করে নিরামিষাশীদের দেহে এই ভিটামিনের ঘাটতি বেশি দেখা যায়, কারণ এটি উদ্ভিদভিত্তিক নয়। প্রাণিজ উৎসই এই ভিটামিনের মূল উৎপত্তিস্থল।
কী কাজে লাগে ভিটামিন বি১২?
- নতুন রক্তকণিকা ও কোষ তৈরিতে সহায়তা করে, ফলে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমে
- ডিএনএ ও জিনগত উপাদান তৈরিতে সহায়তা করে
- হাড় ভালো রাখতে সহায়তা করে, অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি কমায়
- চুল, নখ ও ত্বক ভালো রাখে
- মানসিক অবসাদ কমাতেও কার্যকর
ঘাটতির লক্ষণ কী কী?
- পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা, পা অসাড় হয়ে যাওয়া
- অতিরিক্ত ক্লান্তি, কাজে অনীহা, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া
- শ্বাসকষ্ট, ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
- মুখে ঘন ঘন আলসার হওয়া
- জন্ডিস বা অ্যানিমিয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়া
কোথায় পাবেন এই ভিটামিন?
-ভিটামিন বি১২ প্রাণিজ উৎসে বেশি থাকে। যেমন—
- ডিম
- রেড মিট ও মুরগির মাংস
- সামুদ্রিক মাছ
- দুধ, দই, ছানা
নিরামিষাশীদের জন্য বি১২ সমৃদ্ধ ফুড সাপ্লিমেন্ট হতে পারে ভালো বিকল্প। তবে কোনো দীর্ঘমেয়াদি অসুখ থাকলে খাদ্যতালিকা পরিবর্তনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ঠিকানা/এএস