ইয়ানিক সিনারের শেষ সার্ভটি ফেরানোর চেষ্টা করেও নেট পার করতে পারলেন না কার্লোস আলকারাস। তাতেই উইম্বলডন পেল নতুন রাজা। প্রথম সেট পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে ৪-৬,৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে জিতলেন সিনার। ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্লামে এটিই কোনো ইতালিয়ান খেলোয়াড়ের প্রথম শিরোপা।
প্রথম সেট ৬-৪ গেমে জিতে গেলেন কার্লোস আলকারাস। তখন মনে হয়েছিল এবারও উইম্বলডনের শিরোপা জিতবেন ২২ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড। জায়গা করে নেবেন রজার ফেদেরার, বিয়ন বোর্গ, পিট সাম্প্রাসদের কাতারে। যারা কমপক্ষে টানা তিনটি করে উইম্বলডন জিতেছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ এই প্রজন্মের ‘ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’ ২৩ বছর বয়সী ইয়ানিক সিনার, তখন ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।
গত ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালেও লড়েছিলেন কার্লোস আলকারাস ও ইয়ানিক সিনার। সেই টুর্নামেন্টের রেকর্ড ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিট লম্বা লড়াইয়ে শেষ কাব্যিক সে ফাইনালটি জিতেছিলেন আলকারাসই। কিন্তু রোববার সেন্টার কোর্টে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারলেন না স্প্যানিশ তারকা। এদিন অবশ্য এই প্রজন্মের সেরা দুই তারকার লড়াইটি স্থায়ী হয়েছিল ৩ ঘণ্টা ৪ মিনিট।
প্রথম সেটে পিছিয়ে পড়া সিনার পরের দুটি সেট জেতেন ৬-৪, ৬-৪ গেমে। সিনারের প্রবল প্রতিরোধের মুখে কিছু অপ্রস্তুতও হয়ে পড়েন আলকালাস। শেষ পর্যন্ত তিনি হেরে যান। এই হারে উইম্বলডনে টানা তিনটি শিরোপা জেতা হলো না। তবে তার বয়স খুব কম। কে জানে একদিন হয়তো হতেও পারে।
আলকারাসের এই হার কিংবা সিনারের এই জয় ছাপিয়ে সামনে এসেছে দুজনের ব্যক্তি দ্বৈরথ। ব্যক্তি দ্বৈরথ সব সময়ই সব খেলারই প্রাণ। ফুটবলে লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানোর দ্বৈরথ একসময় ছিল ফুটবলের বড় আকর্ষণ। অ্যাথলেটিকসে একসময় ছিল কার্ল লুইস-বেন জনসন, কিংবা উসাইন বোল্ট-জাস্টিন গ্যাটলিন দ্বৈরথ। টেনিসেও ফেদেরার-নাদাল, নাদাল-জোকোভিচ মাতিয়ে রাখতেন। বিশ্ব টেনিসে এখন এসে গেছে সিনার-আলকারাস দ্বৈরথ।
উন্মুক্ত যুগের টেনিসে রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের পর দ্বিতীয় জুটি হিসেবে একই মৌসুমের ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে এসেছিলেন সিনার-আলকারাস।
এখন থেকে আরও গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে এই জুটিকে দেখার আশা করাটা একটু বাড়াবাড়ি হবে না।
ঠিকানা/এনআই