Thikana News
০১ অগাস্ট ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

ইউনূস ও তারেক বৈঠকে কী সমঝোতা হয়েছে

ইউনূস ও তারেক বৈঠকে কী সমঝোতা হয়েছে
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত বৈঠকে সমঝোতার পর রাজনৈতিক অঙ্গনের অস্থিরতা কেটে গেছে। দেশে শান্তি, তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অসুস্থও করে তোলা হয়। সেই তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরছেন।
তারেক রহমান দেশে আসছেন দলের ও দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শাসনামলে তারেক রহমানকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাকে সে সুযোগ দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা স্বয়ং লন্ডনে তার সঙ্গে দেখা করে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রাণখোলা কথা বলেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ নন। বয়সের ভারে ক্লান্ত। প্রচণ্ড শারীরিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সাংগঠনিক তৎপরতা চালানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। শীর্ষ নেত্রীর শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণেই প্রধানত পুত্র তারেক রহমানের ওপর দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থেকে সারা দেশে দল গুছিয়ে নেওয়া চেষ্টা করছেন তিনি। বিগত সরকারের রোষানলের কারণে তারেক রহমান তার কাক্সিক্ষত পরিকল্পনা অনুযায়ী সাংগঠনিক-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারেননি। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর তার সেই পথ প্রশস্ত হয়েছে। লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর তারেক রহমানের রাজনৈতিক মাঠ এখন আরও পরিষ্কার। তবে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানই এখন দেশের বড় সমস্যা। বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন সমমনা দলসমূহ নির্বাচনে অংশ নেবে। অনেকে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতে ইসলামী। উভয়েই ক্ষমতাপ্রত্যাশী। জামায়াত ইসলামপন্থী স্থলগুলোকে একতাবদ্ধ করে তার নেতৃত্বে এককাতারে শামিল করছে। ইসলামী সংগঠনগুলো অভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শিক স্বার্থে বিএনপির প্রতি দুর্বল হলেও দেশি-বিদেশি প্রভাবশালীদের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য হস্তক্ষেপ ও ভূমিকায় তাদের দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সবাই জামায়াত-ঘেঁষা। আগামীতে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার কর্মকৌশলও তারা স্থির করছে। এ অবস্থায় নিজ দল গোছানোর পাশাপাশি মাঠেও প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে তারেক রহমানকে।
জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে বিএনপি অর্থাৎ তার নেতৃত্বে এক কাতারে শামিল রাখার চেষ্টা করছেন। কার্যকর প্রভাব সৃষ্টিকারী মাধ্যমেও চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি, সম্ভাবনাও দৃশ্যমান নয়। জাতীয়তাবাদী, ইসলামী শক্তিসমূহের অভিন্ন অবস্থান সৃষ্টিতে তারেক রহমানের সাফল্যের পেছনে বাধা হয়ে আছে স্থানীয় এবং প্রতিবেশী শক্তি। ইসলামী শক্তির উত্থান ও একে প্রতিষ্ঠাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। তারেক রহমান লন্ডনে থেকেই এ ব্যাপারে নানামুখী জোর তৎপরতা চালিয়েও সফল হননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিঃসন্দেহে ভালো ফলাফল করবে বিএনপি। কিন্তু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির নিরঙ্কুশ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমানকে বেগ পেতে হবে।

কমেন্ট বক্স