গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কাতার। দোহায় উভয় পক্ষের পরোক্ষ আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে দেশটি। ৮ জুলাই (মঙ্গলবার) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, বিস্তারিত আলোচনা এখনও শুরু হয়নি। একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আরও সময় লাগবে। খবর আল জাজিরার।
আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একটি সাধারণ কাঠামো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তবে বিস্তারিত আলোচনা এখনও শুরু হয়নি। আমরা আলোচনার কাঠামোতে ব্যবধান কমাতে এবং একটি উপযুক্ত পরিবেশ খুঁজে বের করতে চাই। এখনও কোনো বিস্তারিত বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় আসেনি, তবে কিছু ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ এবং ফলাফল অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি দেওয়া সম্ভব নয়।’
আল-আনসারি জানান, মধ্যস্থতাকারীদের প্রধান লক্ষ্য হলো যুদ্ধ শেষ করার একটি পর্যায়ে পৌঁছানো। এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা প্রক্রিয়াকে শান্ত পরিবেশে রাখা অত্যন্ত জরুরি এবং তথ্য ফাঁস হলে তা আলোচনার গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে। তিনি তথ্য ফাঁসকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের ক্ষমতা সম্পর্কে মন্তব্য না করলেও মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি তাদের অংশগ্রহণকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন। কাতার আলোচনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করেনি, তবে ইতিবাচক ফলাফল না আসা পর্যন্ত আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এই আলোচনাগুলো এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও গাজায় একটি চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মৌলিক কিছু বিষয়ে এখনও মতবিরোধ রয়েছে। তবে মধ্যস্থতাকারীরা একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী।
ঠিকানা/এএস