Thikana News
০৮ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

সকালের নাশতায় পরোটা, পুষ্টিকর না কি স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ?

সকালের নাশতায় পরোটা, পুষ্টিকর না কি স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ? ছবি : সংগৃহীত
সকালের নাশতা দিন শুরু করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। দীর্ঘ রাতের উপবাসের পর শরীর ও মস্তিষ্ককে শক্তি জোগাতে এই খাবারটির গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকেই দিনের শুরুটা করেন গরম গরম পরোটা দিয়ে। তবে প্রশ্ন হলো এই পরোটা কি প্রতিদিনের নাশতায় উপযুক্ত? পুষ্টিগুণের দিক থেকে পরোটা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? এনডিটিভির প্রতিবেদনে ডায়েটিশিয়ান বৈশালী ভার্মা এবং পুষ্টিবিদ নিতি শর্মা এ বিষয়ে কথা বলেছেন।

পরোটার পুষ্টিগুণ: পরোটা মূলত কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য ফাইবার সরবরাহ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এটি গোটা গম বা মাল্টিগ্রেন আটা দিয়ে তৈরি হয় এবং সঙ্গে ডাল, পনির বা সবজি থাকে, তবে এটি হতে পারে শক্তির ভালো উৎস। ঘরে তৈরি, কম তেলে ভাজা পরোটা প্রক্রিয়াজাত খাবারের চেয়ে অনেকটাই স্বাস্থ্যকর।

ডায়েটিশিয়ান বৈশালী ভার্মা এবং পুষ্টিবিদ নিতি শর্মা মনে করেন, পরোটা শক্তিদায়ক হলেও এটি কতটা স্বাস্থ্যকর হবে, তা নির্ভর করে কীভাবে এবং কোন খাবার দিয়ে পরোটা খাওয়া হচ্ছে তার ওপর। 

স্বাস্থ্যঝুঁকি কোথায়: পরোটা যদি প্রতিদিন অতিরিক্ত তেলে ভাজা হয়, তবে তা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষত যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাছাড়া প্রতিদিন এক ধরনের খাবার খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যেভাবে পরোটাকে স্বাস্থ্যকর করা যায়: পুষ্টিবিদরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যেগুলো মেনে চললে পরোটাকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব—
  • কম তেল ব্যবহার: দুটি পরোটা তৈরি করতে ৫ মিলিগ্রামের বেশি তেল ব্যবহার না করাই ভালো।
  • গোটা গম বা মাল্টিগ্রেন আটা ব্যবহার: এতে ফাইবার বেশি থাকে, যা হজমে সাহায্য করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত মসলা: জিরা, ধনে গুঁড়া বা হলুদ ব্যবহারে খাবার হয়ে ওঠে আরও পুষ্টিকর।
  • সবজি দিয়ে স্টাফিং: আলুর পরিবর্তে করলা, গাজর, ঢেঁড়স বা অন্যান্য সবজি ব্যবহার করলে পরোটার পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়।
  • দইয়ের সঙ্গে খাওয়া: পরোটার সঙ্গে এক কাপ দই খেলে তা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
প্রতিদিন একই ধরনের নাশতা না খেয়ে বৈচিত্র্য রাখা উচিত। যেমন একদিন পরোটা, আরেকদিন ওটস, আবার অন্যদিন ডিম বা সবজি দিয়ে দিন শুরু করলে শরীর পায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। পরোটা একেবারে বাদ না দিয়ে বরং স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করে এবং পুষ্টিকর উপাদানের সঙ্গে খেলে এটি হতে পারে একটি উপযোগী নাশতা। মূল কথা হলো, পরিমিতি ও ভারসাম্য বজায় রেখে খাবার গ্রহণ এটাই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।

আপনি যদি সকালের নাশতায় পরোটা খেতে ভালোবাসেন, তবে তা কম তেলে, গোটা গমের আটায় তৈরি এবং দই কিংবা সবজির সঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে এটি হয়ে উঠবে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর দুটোই।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স