Thikana News
০৭ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

‘জবাবদিহি না করলে ইসরায়েলকে ভুগতে হবে’— হুঁশিয়ারি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

‘জবাবদিহি না করলে ইসরায়েলকে ভুগতে হবে’— হুঁশিয়ারি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংগৃহীত
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বিত হামলার জন্য যদি দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় না আনা হয়, তবে এর পরিণতি শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস প্লাস সম্মেলনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আরাঘচি বলেন, ‘ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলা ছিল পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুল্যুশন ২২৩১-এর সরাসরি লঙ্ঘন। ২০১৫ সালে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত ওই রেজুল্যুশনের মাধ্যমে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির বৈধতা স্বীকৃত হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের দ্বারা সংঘটিত আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণ এই হামলাকে যৌথ ও পরিকল্পিত অপরাধে রূপ দেয়। তার ভাষায়, ‘এতে আর কোনো সন্দেহ থাকে না যে, ইসরায়েলের আগ্রাসী যুদ্ধে মার্কিন সরকার সম্পূর্ণভাবে জড়িত।’

ব্রিকস প্লাসের এই সম্মেলনে ইরান প্রথমবারের মতো ব্লকের পক্ষ থেকে শক্তিশালী সমর্থন লাভ করে। ১১ সদস্যবিশিষ্ট এই জোটের সম্মিলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা ১৩ জুন ২০২৫ থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত সামরিক হামলার নিন্দা জানাই। পাশাপাশি বেসামরিক অবকাঠামো ও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইচ্ছাকৃত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ যদিও বিবৃতিতে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এই কূটনৈতিক অবস্থানকে তেহরান একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থন’ হিসেবে দেখছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন ১২ দিনের ভয়াবহ সংঘাতে ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েল টানা বোমা হামলা চালায়, যার মধ্যেই নাতাঞ্জ, ফর্দো এবং ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রও বিস্ফোরক হামলা চালায়।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সংঘাতে ইরানে অন্তত ৯৩৫ জন নিহত ও ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হয়েছেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তেহরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে ২৯ জন নিহত ও ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হন বলে জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা এখনো বলবৎ রয়েছে। তবে তেহরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যতক্ষণ না আন্তর্জাতিকভাবে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়, ততক্ষণ তারা পারমাণবিক আলোচনা টেবিলে ফিরবে না।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স