শিশুর সরল শৈশব, তারুণ্যের উচ্ছল প্রেম চুরি করে
ঝুলিতে পারমাণবিক বোম, কাঁধে স্টেনগান ঝুলিয়ে
শ্বাপদ যায় হেঁটে ঐ পুশ-পুতিনের চোখে বল্ড ঈগলে-
ছড়িয়ে বিদ্বেষ বংশপরম্পরায় মানবের নিউরনে!
মানুষ নির্দয় হলে সর্পগন্ধায় দশ হাত-পা গজিয়ে
রাবণের লিকলিকে জিভে দেখায় ভয় যেন
গিলবে গোটা পৃথিবী-কালো ধোঁয়ার আস্তরণে!
হিমাঙ্কের নিচে হু হু করে নেমে যাবে তাপমাত্রা
জরায়ুর উষ্ণ অন্দর প্রদেশে নামবে ঘোর তমসা
পাললিকের নরম বুক যাবে ভরে শ্বাপদ প্রজাতিতে!
সবকিছুই ব্যর্থ হয়ে যায় মানব অমানবিক হলে-
জলবায়ু পরিবর্তন, ক্ষুধা, যুদ্ধ, ধর্ষণ, বন্দুক নীতি
লিখিত কবিতা হারুত-মারুতে
ব্যবিলনের পাহাড়ে ঝোলে কেয়ামত অবধি!
ভুসভুস নর্দমায়, কলুষিত তেলে কিলবিল গিরগিটি
নষ্টের রঞ্জক প্রজন্মান্তরে অঙ্কুরায়ণের এ উদাহরণ
হে শ্বাপদ, তোমাদেরই অমরতা আকাক্সক্ষার সৃষ্টি!
ধূলিসাৎ করো পম্পেই নগর মাখনের অগ্ন্যৎপাতে,
সীমানা, তৈল-অ্যালুমিনিয়ামের ক্ষমতার প্রতাপে!
গাছি চাঁদের চাকুতে তুলে আনো জ্যান্তের চক্ষু কোটর
আমন্ত্রণ জানিয়েছ তোমরা নিউক্লিয়ার উন্টারÑ
এনেছ আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি খুলে ওজনের দ্বার!
দ্যাখো তো তোমার ত্বকের নিচে পড়েছে কি কালশিটে দাগ?
বেঁধেছে কি মাংসল পিণ্ডে বাসা ক্যান্সার ফ্যামিলি?
নয়তো নির্ঘাত মরবে তুমি তীব্র তুষার ঠান্ডায়,
ফলবে না শস্য, দুর্ভিক্ষে খাবে ব্যাঙ, জোঁক, চীনা মাটি।
শাসন করবে তুমি তখন হে শ্বাপদ-
বিরান শৃগালের মরুভূমি!
গোলাবারুদ, পারমাণবিক অস্ত্রে বাড়িয়ে বাজেট,
যুদ্ধ বাধিয়ে শ্বাপদ-নেতা তুমি কাটো পাবলিকের পকেট!
উদ্বিগ্ন মাতারা হন্যে হয়ে ছোটে দোকানে
বেবিফুডের শেলফগুলি তখন মার্কেটে খালি পড়ে থাকে!
সৈন্য, মন্ত্রী তোষামোদি ক্ষেত্র ভেদে চালো দাবার গুটি,
যাকে ইচ্ছে ওঠাও উচ্চে, কাউকে রেখেছ চিপায় তুচ্ছে-
লাভ কী বলো হে যুদ্ধ গিরিবাজ, অসাংবিধানিক তকমায়
নিয়ম-নীতির বিসর্জনে, খেলে স্নায়ু নিপীড়নের এ হোলি!