সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের কাউন্সিলিং প্রয়োজন মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, থুনবার্গের রাগ নিয়ন্ত্রণ ক্লাসে যাওয়া উচিত। ৯ জুন (সোমবার) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন।
ত্রাণবাহী জাহাজ নিয়ে গাজায় যাওয়ার চেষ্টাকালে ইসরায়েলি নৌবাহিনী গ্রেটা ও বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করে। এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন ট্রাম্প। একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, গ্রেটা থুনবার্গের জন্য তার কোনো বার্তা আছে কি না।
ট্রাম্প বলেন, সে একজন অদ্ভুত মানুষ। সে একজন রাগী মানুষ। আমি জানি না এটা সত্যিকারের রাগ কি না। আসলে এটা বিশ্বাস করা কঠিন। তবে আমি ঘটনাটি দেখেছি। সে নিশ্চিতভাবে আলাদা। আমি মনে করি তার একটি রাগ নিয়ন্ত্রণ ক্লাসে যাওয়া উচিত। এটাই আমার প্রাথমিক সুপারিশ।
এরপর সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, ফ্লোটিলার সব সদস্যের দাবি অনুযায়ী গ্রেটা কি সত্যিই ইসরায়েলের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন?
ট্রাম্প জবাব দেন, আমি মনে করি গ্রেটা থুনবার্গকে অপহরণ না করলেও ইসরায়েলের যথেষ্ট সমস্যা আছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের উদ্দেশে রওনা দেয় ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’। আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এ জাহাজটি পরিচালনা করছে। তবে গাজায় পৌঁছানোর আগেই জাহাজটিকে আটক করে ইসরায়েল।
প্রসঙ্গত, জাহাজটি থেকে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু আন্দোলনের সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা বার্তায় তিনি বলেন, আমার নাম গ্রেটা থুনবার্গ, আমি সুইডেন থেকে এসেছি। গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটকে দেওয়া হয়েছে। দখলদার ইসরায়েল কিংবা তাদের সমর্থন জোগানো বাহিনী আমাদের অপহরণ করেছে।
এর আগে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করা জাহাজটি গাজার উপকূলে পৌঁছানোর আগেই আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে জোরপূর্বক ইসরায়েলের আশদাদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীসহ ১৩ জন ছিলেন।
ঠিকানা/এএস