Thikana News
০৯ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

ইতালিতে নাগরিকত্ব ও শ্রম আইন সংস্কারে গণভোট

ইতালিতে নাগরিকত্ব ও শ্রম আইন সংস্কারে গণভোট ইতালির গণভোটে হ্যাঁ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রচারণা। ছবি: রয়টার্স



 
নাগরিকত্বের নিয়ম শিথিল ও শ্রম আইন শক্তিশালী করার বিষয়ে ইতালিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সময় ৮ জুন (রবিবার) থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে আগামীকাল ৯ জুন (সোমবার) পর্যন্ত। 

তবে উভয় পরিবর্তনেরই বিরোধী অবস্থানে রয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সরকার। তারা জনগণকে ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ফলে এই গণভোটের বৈধতা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। গণভোটটি বৈধ হতে হলে যোগ্য ভোটারের ৫০ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণ প্রয়োজন। খবর এএফপির। 

নাগরিকত্ব আইন সংস্কারের প্রস্তাব

বর্তমানে ইতালিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের কোনো প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দাকে (বিবাহ বা রক্তের সম্পর্কবিহীন) নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার আগে ১০ বছর বসবাস করতে হয়। তবে প্রস্তাবিত গণভোটের মাধ্যমে এই সময়কাল পাঁচ বছরে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে, যা ইতালিকে জার্মানি ও ফ্রান্সের সমপর্যায়ে নিয়ে আসবে। প্রচারকারীরা বলছেন, এই সংস্কারের ফলে প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষ উপকৃত হতে পারে। বাম ডেমোক্রেটিক পার্টি এই প্রস্তাবকে সমর্থন করছে।

তবে প্রধানমন্ত্রী মেলোনি এই পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তিনি মনে করেন, বর্তমান আইনটি ‘অসাধারণ’ এবং ইতালি প্রতি বছর ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক নাগরিকত্ব প্রদান করে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ ইতালির নাগরিকত্ব অর্জন করেছে, যার বেশিরভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে এসেছে।

শ্রম আইন সংস্কারের প্রস্তাব 

এই গণভোটে শ্রম আইন শক্তিশালীকরণের বিষয়েও চারটি প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো প্রধানত বরখাস্ত হওয়া, অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে থাকা বা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার কর্মীদের জন্য সুরক্ষা বাড়ানোর লক্ষ্য রাখে। বামপন্থী সিজিআইএল ট্রেড ইউনিয়ন এই পরিবর্তনগুলোর জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা চায় এমন একটি সংস্কৃতিকে পরিবর্তন করতে, যেখানে ব্যবসার স্বার্থ কর্মীদের চেয়ে অগ্রাধিকার পায়। ডেমোক্রেটিক পার্টিও এই প্রস্তাবগুলোকে সমর্থন করছে। যদিও তারাই অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালীন কিছু আইন প্রবর্তন করেছিল যা এখন বাতিল করতে চাওয়া হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডেমোক্রেটিক পার্টি এই গণভোটকে সমর্থন করে শ্রমজীবী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চাইছে। কারণ তারা সাম্প্রতিক সমীক্ষায় মেলোনির দলের চেয়ে পিছিয়ে আছে। গণভোটের ফলাফল ইতালির সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশটির বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন ‘সিজিআইএল’ এর সাধারণ সম্পাদক মাউরিষিও ল্যান্ডিনির নেতৃত্বে একাধিক শ্রম সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কর্মসংস্থান বিষয়ক গণভোটের আয়োজন করে। অন্যদিকে রিকার্ডো মাগির নেতৃত্বে দেশটির একাধিক রাজনৈতিক ও সমাজকল্যাণ সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি নাগরিকত্ব বিষয়ক গণভোটের আয়োজন করে।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স