উপমহাদেশের প্রাচীন ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে দেশের বৃহত্তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকাল নয়টায় ১৯৮তম ঈদ জামাতের ইমামতি করেন কিশোরগঞ্জ শহরের বড়বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।
এদিন ঈদের জামাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন শোলাকিয়ায়। ময়দানে প্রবেশের আগে মুসল্লিদের পার হতে হয়েছে একাধিক নিরাপত্তাচৌকি।
শোলাকিয়া ঈদগাহে ছিল চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। প্রতিটি প্রবেশপথে স্থাপন করা হয়েছিল আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর। মুসল্লিদের দেহ তল্লাশি করে ময়দানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকার ওপর নজরদারি চালানো হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কাজেম উদ্দীন জানান, শোলাকিয়ার পুরো মাঠ ও আশপাশের এলাকা ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারির আওতায় এনেছি। প্রতিটি গেটে আর্চওয়ের পাশাপাশি ছিল মেটাল ডিটেক্টর। নিরাপত্তার জন্য মাঠে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন ছিল এবং আশপাশের সব স্থাপনাতেও পুলিশ ডিউটিতে ছিল।
জেলা প্রশাসক ও ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত অজুর পানি, সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়। পর্যাপ্ত ওয়াশরুমের পাশাপাশি তৈরি ছিল মেডিকেল ক্যাম্প, যাতে কেউ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিসও দায়িত্ব পালন করেছে।
নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পর্যাপ্ত পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্য এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ করতে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। ঈদের জামাতে অংশ নিতে এই ট্রেন দুটি কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ এবং ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রুটে চলাচল করেছে বলেও জানান ফৌজিয়া খান।
ঠিকানা/এনআই