মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের পুত্র ব্যারন ট্রাম্পের (১৯) ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে একটি সংবাদ। সম্প্রতি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে (এনওয়াইইউ) তার প্রথম বর্ষের পাঠ শেষ করার পর ক্যাম্পাসের এক বেনামী বন্ধু দাবি করেছেন, ব্যারনের একজন ‘চমৎকার’ বান্ধবী আছেন, যিনি তার জীবনের বিশেষ একজন হয়ে উঠেছেন।
সূত্রটির বরাতে জানানো হয়, ব্যারন ট্রাম্প সামাজিক জীবনে অনেকটা মায়ের মতোই। তিনি প্রচারের আলো এড়িয়ে চলেন এবং শান্ত স্বভাবের। ‘তিনি বড় তারকা হওয়ার মতো কিছু করতে চান না, বরং নিজের মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করেন,’ মন্তব্য করেন সেই ঘনিষ্ঠ সূত্র।
যদিও নতুন প্রেমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি, তবে এটি ব্যারনের প্রথম প্রকাশ্য সম্পর্ক বলে মনে করছেন অনেকে। এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, এখনো তার কোনো বান্ধবী নেই। তবে সে খুব মিশুক, মানুষকে পছন্দ করে।’
ক্যাম্পাসে অবস্থান ও জনপ্রিয়তা : ব্যারনের ক্যাম্পাস-জীবন নিয়েও মিশ্র প্রতিবেদন সামনে এসেছে। একদিকে ঞগত-এর দাবি ছিল, গোপন সার্ভিসের কঠোর নজরদারির কারণে ক্যাম্পাসে তার সামাজিক যোগাযোগ সীমিত। অন্যদিকে চবড়ঢ়ষব-এর এক সূত্র দাবি করেছেন, ব্যারন ‘মেয়েদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়’ এবং অনেকেই তাকে ‘আকর্ষণীয় ও সৌম্য’ বলে মনে করেন।
রাজনীতি থেকে দূরত্ব : যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ব্যারন মাঝে মাঝে তাকে রাজনৈতিক পরামর্শ দেন এবং ২০২৪ সালের প্রচারণার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পডকাস্ট বাছাইতেও তিনি ভূমিকা রাখেন, তবে বর্তমানে ব্যারন রাজনীতি থেকে বেশ দূরেই আছেন বলে জানা যাচ্ছে। ক্যাম্পাসে তিনি কোনো কনজারভেটিভ ছাত্রসংগঠনে সক্রিয় নন, এমনকি রিপাবলিকানদের ছাত্রসংগঠন থেকেও দূরত্ব বজায় রেখেছেন।
প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ : সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ব্যারনের প্রযুক্তি বিষয়ে অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। রাজনীতি বা ব্যবসার চেয়ে প্রযুক্তিই এখন তার মূল আগ্রহের ক্ষেত্র বলে মনে হচ্ছে।
হার্ভার্ডে ভর্তির গুজব : সমাজমাধ্যমে চলা এক গুঞ্জনÑব্যারন ট্রাম্প নাকি হার্ভার্ডে আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এ বিষয়ে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ব্যারন হার্ভার্ডে আবেদনই করেননি। এ সংক্রান্ত সকল তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
শেষ কথা : তরুণ বয়স, পরিচিত রাজনৈতিক পরিবার আর নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলার চেষ্টায় ব্যারন ট্রাম্প আজও গণমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। প্রেম, প্রযুক্তি, কিংবা রাজনীতিÑকোন পথে তিনি হাঁটবেন, সেটি সময়ই বলে দেবে।