কেবল ভারত ছাড়া সব দিগন্তেই কম-বেশি জ্যোতিস্ময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিজ দেশে নানা কারণে কিছুটা গোলমালে পড়েছেন। আবার উৎরেও যাচ্ছেন। পদত্যাগের গোঁ ধরলেও শেষ পর্যন্ত সেই পথ মাড়াননি। ৩০-৩১ দলকে আবারো বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, রাষ্ট্রক্ষমতা তার জায়গা নয়! একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন করে বিদায় নেবেন তিনি। কিন্তু, নিজ দেশের পাশাপাশি বিশ্বময় প্রতিবেশী মহাশক্তিমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কী দশা?
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও জাপান নিয়ে গঠিত জি-৭ সম্মেলনে মোদিকে এখন পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর মানে কী? দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি-কূটনীতিতেও কি কোনো নয়া সমীকরণ? ভারত কি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে কুটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে? না নতুন কোনো চালে মাথা ঢুকিয়েছে? প্রতিবেশী দেশের পতিতকে আশ্রয়, প্রতিবেশী দেশে মিথ্যা অজুহাতে আক্রমণ ছাড়া আর কী কারণ থাকতে পারে সেভেন গ্রুপ থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত না করার? তাচ্ছিল্য নরেন্দ্র মোদিকে, না ভারতকে?
মাত্র ক’দিন আগে জাপানকে টপকে যাওয়ার বড়াই করেছিল ভারত। ঘটনাপ্রবাহে সেদিন জাপান ঘুরে এসেছেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর প্রফেসর ইউনূস এই প্রথমবারের মত যান জাপানে। সফর ছিল ৩ দিনের। তার জাপান যাওয়া নিক্কেই গ্রুপের আমন্ত্রণে। ব্যবহার করেছেন কমার্শিয়াল বিমান। তার যাতায়াত, থাকা-খাওয়া সমস্ত খরচ নিক্কেই গ্রুপের। সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হলো প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সাথে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে। সিদ্ধান্ত হয়েছে মোট ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হবে। তা খরচ হবে অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতা উন্নয়নে, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথ উন্নয়নে। শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপও রয়েছে এর আওতায়। আর কিছু?
আছে, আরো আছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অন্তত এক লাখ কর্মসংস্থানের একটি গোল সেটও রয়েছে। এ কাজটি করতে পারলে তা দশ লাখ পরিবারের ৫০ লাখ লোকের জীবনকে স্পর্শ করবে। একজন শ্রমিক মাসে ৫০ হাজার টাকা দেশে পাঠাতে পারলে মাসে ৫ বিলিয়ন টাকা ঢুকবে। সেমিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে ২টি সংগঠনের সমঝোতা যুক্তি হয়েছে। নিক্কেই ফোরামে আসিয়ান দেশগুলোর রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানর্ওা গেছেন। সেখানে কীনোট স্পিচ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা। এটিও কি কম প্রাপ্তি?
হোক না বাংলাদেশে এখনো নন আসিয়ান দেশ। সেখানে সদস্য হওয়ার চেষ্টা চলছে। অ্যাম্বাসিতে প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় হয়েছে। প্রবাসীরা অনুরোধ রাখেন, নারিতা-ঢাকা বিমান রুটটা যেনো চালু থাকে। তিনি শুনেছেন। হোম ওয়ার্ক হিসেবে নিয়ে এসেছেন। বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে জানাবেন। জানিয়েছেন কি-না আমাদের কিন্তু এখনো জানানো হয়নি। জানাবেন তো?
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন, ঢাকা।ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিজ দেশে নানা কারণে কিছুটা গোলমালে পড়েছেন। আবার উৎরেও যাচ্ছেন। পদত্যাগের গোঁ ধরলেও শেষ পর্যন্ত সেই পথ মাড়াননি। ৩০-৩১ দলকে আবারো বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, রাষ্ট্রক্ষমতা তার জায়গা নয়! একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন করে বিদায় নেবেন তিনি। কিন্তু, নিজ দেশের পাশাপাশি বিশ্বময় প্রতিবেশী মহাশক্তিমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কী দশা?
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও জাপান নিয়ে গঠিত জি-৭ সম্মেলনে মোদিকে এখন পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর মানে কী? দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি-কূটনীতিতেও কি কোনো নয়া সমীকরণ? ভারত কি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে কুটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে? না নতুন কোনো চালে মাথা ঢুকিয়েছে? প্রতিবেশী দেশের পতিতকে আশ্রয়, প্রতিবেশী দেশে মিথ্যা অজুহাতে আক্রমণ ছাড়া আর কী কারণ থাকতে পারে সেভেন গ্রুপ থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত না করার? তাচ্ছিল্য নরেন্দ্র মোদিকে, না ভারতকে?
মাত্র ক’দিন আগে জাপানকে টপকে যাওয়ার বড়াই করেছিল ভারত। ঘটনাপ্রবাহে সেদিন জাপান ঘুরে এসেছেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর প্রফেসর ইউনূস এই প্রথমবারের মত যান জাপানে। সফর ছিল ৩ দিনের। তার জাপান যাওয়া নিক্কেই গ্রুপের আমন্ত্রণে। ব্যবহার করেছেন কমার্শিয়াল বিমান। তার যাতায়াত, থাকা-খাওয়া সমস্ত খরচ নিক্কেই গ্রুপের। সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হলো প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সাথে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে। সিদ্ধান্ত হয়েছে মোট ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হবে। তা খরচ হবে অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতা উন্নয়নে, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথ উন্নয়নে। শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপও রয়েছে এর আওতায়। আর কিছু?
আছে, আরো আছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অন্তত এক লাখ কর্মসংস্থানের একটি গোল সেটও রয়েছে। এ কাজটি করতে পারলে তা দশ লাখ পরিবারের ৫০ লাখ লোকের জীবনকে স্পর্শ করবে। একজন শ্রমিক মাসে ৫০ হাজার টাকা দেশে পাঠাতে পারলে মাসে ৫ বিলিয়ন টাকা ঢুকবে। সেমিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে ২টি সংগঠনের সমঝোতা যুক্তি হয়েছে। নিক্কেই ফোরামে আসিয়ান দেশগুলোর রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানর্ওা গেছেন। সেখানে কীনোট স্পিচ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা। এটিও কি কম প্রাপ্তি?
হোক না বাংলাদেশে এখনো নন আসিয়ান দেশ। সেখানে সদস্য হওয়ার চেষ্টা চলছে। অ্যাম্বাসিতে প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় হয়েছে। প্রবাসীরা অনুরোধ রাখেন, নারিতা-ঢাকা বিমান রুটটা যেনো চালু থাকে। তিনি শুনেছেন। হোম ওয়ার্ক হিসেবে নিয়ে এসেছেন। বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে জানাবেন। জানিয়েছেন কি-না আমাদের কিন্তু এখনো জানানো হয়নি। জানাবেন তো?
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন, ঢাকা।