কোচ গ্যারি স্টিডের অধীনে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তার হাত ধরেই দলটি প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছে। ২০২১ সালে ক্রিকেটতীর্থ লর্ডসে ভারতকে কাঁদিয়ে শিরোপা জয় করেছিল তারা। এছাড়া একটি করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০২১) এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (২০২৫) ফাইনালেও তার অধীনেই পৌঁছেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। অবশেষে সে সাফল্যযাত্রা থেমেছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেম এই ৫৩ বছর বয়সি কোচ।
সাদা বলের ক্রিকেট থেকে নিজেকে আগেই সরিয়ে নিয়েছিলেন স্টিড। লাল বলের ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনতে সময় নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষেই বিদায় নিলেন তিনি।
২০১৮ সালে মাইক হেসন দায়িত্ব ছাড়ার পর নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের ভার ওঠে স্টিডের কাঁধে। দায়িত্ব পাওয়ার পরের বছরই দলকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন। শিরোপা জেতাতে না পারলেও এক সাফল্যমণ্ডিত অধ্যায়ের পত্তন হয়েছিল তখন।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে বিদায় বলার মুহূর্তে গ্যারি স্টিডের উপলব্ধি, ‘গত সাত বছরে যা কিছু করেছি, তার মূল ভিত্তি ছিল দেশের জন্য সেরা খেলা দেওয়া। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও মাইক হেসনের রেখে যাওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা আরও পরিণত হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, ধারাবাহিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং প্রতিপক্ষকে জানান দেওয়া, ব্ল্যাকক্যাপস সহজে ভাঙে না।’
তার ভাষ্য, ‘পাঁচ মিলিয়ন মানুষের ছোট একটি দেশের হয়ে কাজ করা, যেখানে সম্পদ সীমিত, তবুও আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছি — এটা গর্বের।’
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট সঙ্গ ছাড়লেও ক্রিকেটকে এত দ্রুত ‘গুডবাই’ বলতে চান না স্টিড। কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে আবার ফিরতে চান ২২ গজের মচ্ছবে।
ঠিকানা/এএস