ঠিকানা অনলাইন 
আসছে অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নোবেলসহ ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থ আয়করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু বাজেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে এমন ‘হালকা বিষয়’ আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে তিনি বলছেন, ‘নোবেল পুরস্কারের আয় করমুক্ত থাকবে- এমন বিষয় কোথা থেকে এলো, এর কোনো ব্যাখা খুঁজে পাইনি।’
৩ জুন মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) হয়েছে এই আলোচনা অনুষ্ঠান। যা সরাসরি দেখা গেছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যনেলে। যেখানে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট ও অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আবদুল্লাহ। সদ্যঘোষিত জাতীয় বাজেট ছাড়াও সমকালীন রাজনীতি, সংস্কার, নির্বাচন- নানা বিষয়ে টকশোতে কথা বলেন দুই অতিথি।
অন্তর্র্বতী সরকারের উচিত ছিল জনমুখী একটি বাজেট দেওয়া- এমন মন্তব্য করেন এনসিপি নেত্রী ডা. তাজনূভা জাবীন। তিনি বলেন, এই সরকার বাজেট নিজেদের মতো করতে পারতো। এর বদলে তারা পুরনো কাঠামোতেই বাজেট প্রনয়ন করেছে। যা অনেকটা দায়সারাভাবে করা হয়েছে। এই সরকার যদি বৈষম্যহীন একটি বাজেট দিতে পারতো, তাহলে পরে সরকারে যারা আসবে, তারা ভালো কিছু করার জন্য চাপে থাকতো।
বাজেট নিয়ে প্রায় একই কথা বললেন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আবদুল্লাহ। তার ভাষ্যমতে, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলই খুশি নয়। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, তা দরকার ছিল না। এমন অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই দেখা যাচ্ছে বাজেটে।
গত কয়েক মাস ধরে সংস্কার ও নির্বাচনকে যেভাবে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে, এরও কোনো দরকার ছিল না বলে মনে করেন ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট সাইয়েদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ও সংস্কার একই সঙ্গে চলতে পারে। কেউ যদি মনে করে, নির্বাচন বাদ দিয়ে সংস্কার করা হবে, এটা কখনোই ঠিক হবে না। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, যারা নির্বাচন চায়, তারা কেউ কিন্তু সংস্কারের বিরোধী নয়।’
অন্যদিকে সংস্কারের মধ্যে থাকা সুপারিশগুলো সব দলকেই উদারভাবে বিবেচনা করার আহ্বান জানালেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ। তার মতে, সব পক্ষকেই সংস্কারের ব্যাপারে ছাড় দিতে হবে। কারণ শেখ হাসিনার পতন যেমন জরুরি ছিল, তেমনি বর্তমান ‘সিস্টেমের’ পরিবর্তনও প্রয়োজন রয়েছে।
এনসিপি নির্বাচনের আগেই কেন সংস্কার নিশ্চিত করতে চায়? এমন প্রশ্নে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ দলীয় কোনো স্বার্থে নয়, সেগুলো মূলত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্যেই প্রয়োজন।’ সংস্কার বিষয়ে যদি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি না হয়, সেক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ‘গণভোট’ আয়োজনের দাবি জানিয়ে রাখলেন তিনি।
ঠিকানা/শই
