জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাজেট বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো নিরূপণ করতে পারলেও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা এতে অনুপস্থিত। অর্থনৈতিক রূপান্তরের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, তার পূর্ণ প্রতিফলন বাজেটে ঘটেনি। ৩ জুন (মঙ্গলবার) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ বলেন, মানুষ আশা করেছিল, গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত নতুন সরকারের বাজেটে ধনী-গরিবের আয় বৈষম্য কমানোর কার্যকর উদ্যোগ থাকবে। কিন্তু কর ফাঁকি দেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ বা কৌশল দেখা যায়নি। এতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর করের চাপই বাড়বে।
অভিযোগ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, বেকার সমস্যা থেকে যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল, সেই সমস্যার কার্যকর সমাধান বাজেটে নেই। গত এক বছরে ২৬ লাখ নতুন বেকার যুক্ত হলেও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোর কোনো স্পষ্ট নীতি বাজেটে দেখা যায়নি।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতেও বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন বা নতুন উদ্যোগ নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষা খাতে জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন। অথচ এবার বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১.৭ শতাংশ।
বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখার বিরোধিতা করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, রেজিম পরিবর্তনের পর এমন উদ্যোগ গ্রহণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। এই সুযোগ বন্ধ করা উচিত।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪০৫ কোটি টাকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই অর্থ যথাযথ পুনর্বাসন ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করতে হবে।
ঠিকানা/এএস