রাশিয়ার লুনা-২৫ ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এখনও আশা জাগিয়ে ঠিক কক্ষপথেই আছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বুধবার ভারতীয় সময় ছয়টা চার মিনিটে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করবে। খবর ডয়েচে ভেলের
এই অভিযান সফল হলে চাঁদের অনাবিষ্কৃত এই অংশে প্রথমবার কোনো ল্যান্ডার পা রাখবে। আর এখানে চাঁদের মাটির নিচে জলীয় বরফ আছে বলে বৈজ্ঞানিকদের অনুমান। সেজন্যই চন্দ্রযান-৩-এর দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। বিশেষ করে লুনা ২৫ ধ্বসের পর।
কোথায় আছে চন্দ্রযান-৩
চন্দ্রযানএখন চাঁদের শেষ কক্ষে ঢুকে পড়েছে। এখান থেকে চাঁদের সবচেয়ে কাছের অংশ ২৫ কিলোমিটার ও সবচেয়ে দূরের অংশ ১৩৪ কিলোমিটার দূরে।
ইসরো জানিয়েছে, একেবারে পরিকল্পনামাফিক চলছে ল্যান্ডার বিক্রম। শনিবার রাত দুটো নাগাদ তার কক্ষপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। বিক্রম এখন চাঁদের শেষ কক্ষপথে আছে।
কঠিন পরীক্ষা
এখান থেকে এবার চাঁদে নামবে বিক্রম। এটা কঠিন পরীক্ষা। কারণ, গতবার চন্দ্রযান-২ এখানেই ভেঙে পড়েছিল। রাশিয়ার লুনা ২৫-ও একইরকমভাবে ভেঙে পড়েছে।
গত ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩-কে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। গত ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩-কে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।
তবে এবার ভারতীয় মহাকাশসংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা গতবারের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বেশ কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাদের আশা, বিক্রম সফলভাবে চাঁদের পিঠে নামবে।
আর এই চাঁদে নামা লাইভ দেখানো হবে ইসরোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও ইউটিউবে।
চন্দ্রযান-৩-এর সঙ্গে প্রতিয়োগিতায় নেমেছিল রাশিয়ার লুনা ২৫। কে আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি প্রথম ছুঁতে পারবে, সেই প্রতিযোগিতা।
চাঁদের শেষ কক্ষপথে পৌঁছানোর জন্য মাত্র একটা ধাপ বাকি ছিল লুনা ২৫-এর কিন্তু সেটা তারা আর পেরোতে পারলো না। নিজের কক্ষপথ ছেড়ে কিছুটা এগিয়ে যায় লুনা ২৫। তারপরই রাশিয়ার মহাকাশসংস্থা রসকসমসের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে রাশিয়া জানায়, লুনা ২৫ চাঁদের মাটিতে ভেঙে পড়েছে। রাশিয়া শেষবার চাঁদে নেমেছিল ১৯৭৬ সালে। সেই সোভিয়েত আমলে লুনা ২৪ কোনো ভুল করেনি। কিন্তু এতবছর পর রাশিয়া যখন লুনা ২৫ চাঁদে পাঠালো, তখন তা সাফল্য পেল না।
ঠিকানা/এসআর