প্রতিবেশীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন স্ত্রী। অনেক বুঝিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। মাসখানেক পর বাড়ি ফিরতেই এলাকাবাসীর কটাক্ষ ও নিন্দায় মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসীর মুখ বন্ধ করতে স্ত্রীকে তার প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন যুবক।
সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে এ ঘটনা ঘটে। সালিশি সভায় সবাইকে সাক্ষী রেখে যুবক জানান, নিজেই স্ত্রীকে তার প্রেমিকের হাতে তুলে দিচ্ছেন। তাকে নিয়ে যেন আর কোনো খারাপ কথা না হয়।
জানা গেছে, আট বছর আগে মতিলাল ও স্বপ্নার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবন সুখেরই ছিল। পাঁচ বছরের এক সন্তানও রয়েছে তাদের। তবে বছরখানেক আগে প্রতিবেশী তাপসের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্বপ্না। পেশায় কলমিস্ত্রি তাপসের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন স্বপ্না।
একপর্যায়ে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়েও যান। দিল্লিতে এক মাস ছিলেন তারা। সম্প্রতি ফিরে আসেন মালদহে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী শুরু করে কটাক্ষ। কিন্তু স্ত্রীকে নিয়ে এসব কথাবার্তা মোটেই মানতে পারেননি মতিলাল। রুখে দাঁড়ান তিনি। সালিশি সভায় উপস্থিত অন্যরা তখন বিস্মিত।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার গৌরীপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিলাল পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার কথায়, বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করেছি, আমার স্ত্রী গোপনে কারও সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলছে। আমার সন্দেহ হয়েছিল। ওর ফোন কেড়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও ওকে আটকাতে পারিনি। এ নিয়ে কলহ হতো আমাদের।
এর কিছুদিন পরই মতিলাল জানতে পারেন, তার প্রতিবেশী কলমিস্ত্রি তাপসের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বপ্না। শুধু তা-ই নয়, মাঝে মাঝে বোনের বাড়ি যাওয়ার নাম করে প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটাতে যেতেন স্ত্রী।
মতিলাল বলেন, আট বছরের সংসারজীবনের ভালোবাসা ভুলে স্ত্রীকে ওর প্রেমিকের হাতে তুলে দিলাম। ওদের বিয়ে হলে আমার কোনো আপত্তি নেই।
তবে এখনই মতিলালকে ডিভোর্স দিতে রাজি নন স্বপ্না। তার অভিযোগ, মতিলাল আমাকে সন্দেহ করতেন। মারধর করতেন। তাই চলে গিয়েছিলাম। তবে তাপসকেও আমি ছাড়তে চাই না। পরে কী হবে, আমার জানা নেই। অন্যদিকে তার প্রেমিক তাপসও বিবাহিত। এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে তার।
ঠিকানা/এনআই