Thikana News
২৩ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশো

‘জেনারেল ওয়াকার চেইন অব কমান্ড ভাঙার লোক নন’

‘জেনারেল ওয়াকার চেইন অব কমান্ড ভাঙার লোক নন’ ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা শাহিদুল হক ও আবু রুশদ ।



 
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ‘চেইন অব কমান্ড’ ভাঙার লোক নন। এখন যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তাতে যদি সেনাবাহিনীর ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে যায়, তাহলে এই দেশকে অরাজকতা থেকে রক্ষার কেউ থাকবে না। এসব কথা বলেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে তিনি আরো বলেছেন, ৫ আগস্ট জেনারেল ওয়াকার যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতেন, তাহলে আরো কয়েক হাজার লোক মারা যেতো। রাজনৈতিক আকাঙ্খা থাকলে তিনি তখন ক্ষমতাও নিতে পারতেন। এসব দিক বিবেচনায় সেনাবাহিনী এখনো ড. ইউনূসের প্রতি শতভাগ অনুগত আছে- মনে করছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা শাহিদুল হক।
২৩ মে শুক্রবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১২টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা) হয় এই আলোচনা অনুষ্ঠান। যা সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যনেলে। এই টকশোতে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নাল-এর সম্পাদক আবু রুশদ। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধানের ভূমিকা, সামরিক বাহিনীর চেইন অব কমান্ড, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ক্যান্টনমেন্ট ঘিরে গুজব-গুঞ্জন, নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ- এমন নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন দুই অতিথি।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ পতনের পর দেশের পরিস্থিতি ১৯৭৫ সালের চেয়েও ‘ভয়াবহ ছিলো’ বলে মনে করেন বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নাল-এর সম্পাদক আবু রুশদ। তিনি আরো বলছেন, এমন পরিস্থিতিতেও সেনাপ্রধান যতটা সম্ভব দেশের শান্তি-শৃঙ্খলারক্ষায় ভূমিকা রেখেছেন। নিজে ক্ষমতাগ্রহণের পথে যাননি। এর কৃতিত্ব জেনারেল ওয়াকার পেতেই পারেন। তবে রাজনৈতিক পক্ষগুলো তার সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু গুজব-গুঞ্জন-কুৎসা করা গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো করা ঠিকও নয়। সবার গুজব থেকে দূরে থাকা উচিত- মন্তব্য করেন আবু রুশদ।
তার ভাষ্যমতে, ‘এখনো সবার মধ্যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। ড. ইউনূসকেও কেউ সময় দিত চান না। তিনি যদি চলে যান, তাহলে কিন্তু সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ট্রাফিক সিস্টেম থেকে সবকিছুতেই নৈরাজ্য দেখা যাচ্ছে। কথা হচ্ছে, ট্রাফিক ডিউটি কী ড. ইউনূস করবেন?’
এদিকে চাকরি ফিরে পাওয়াসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন সশস্ত্র বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া একদল ব্যক্তি। যারা গত ১৫ বছর বঞ্চনার শিকার হয়েছেন, এমন দাবি করছেন। এ প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক বলেন, যারা সত্যিকারেই বঞ্চিত তাদের দাবি যৌক্তিক। সেনাপ্রধান তাদের ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন। তারা হয় চাকরি ফেরত পাবেন, নয়তো সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। মূলত অর্থ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ ঝুলিয়ে রাখায় বিষয়টির সুরাহা হতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী ধৈর্য্য না ধরে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে- মন্তব্য করেন তিনি।
শাহিদুল হক বলছেন, ‘এই অরাজকতার সঙ্গে এমন ব্যক্তিরাও জড়িত, যারা আসলেই দুর্নীতি, নারীঘটিত কারণে চাকরি হারিয়েছিলেন। তারা তো অপরাধ করেই বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তারা কীভাবে নিজেদের বঞ্চিত দাবি করছেন?’

ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশো

ঠিকানািএসআর

কমেন্ট বক্স