পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পর তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট, দুইবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশীকেও গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফআইএ)। গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করেছেন। ১৯ আগস্ট পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির পক্ষ থেকে এ খবর জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে শাহ মেহমুদ বলেছিলেন, যদি পূর্বনির্ধারিত সময়ে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তবে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তিনি আদালতের দ্বারস্ত হবেন। দুইবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা শাহ মেহমুদকে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট, ১৯২৩ এর আওতায় গ্রেফতার দেখিয়েছে দেশটির সরকার।খবর দ্যা ডনের।
তবে, পিটিআই মুখপাত্র জুলফি বুখারি বলেছেন, সরকার নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার অজুহাত তৈরি করতে বিনা কারণে এই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বছর নভেম্বরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া কথা। তার আগে গত ৯ অগাস্ট মধ্যরাতের পর পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগেই দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
জাতীয় পরিষদ বিলুপ্তির মাধ্যমে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পট প্রস্তুত হয়েছে। কিন্তু দেশে নতুন আদমশুমারির কাজ শুরু হওয়ায় ভোট কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের এক মন্ত্রী। পরে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা কুনওয়ার দিলশাদও একই মত জানান।
এদিকে, পিটিআই নেতারা শুরু থেকেই বলছে, তারা কোনো অজুহাতেই জাতীয় নির্বাচন পেছাতে দেবে না। যদিও তোষাখানা মামলায় কারাদণ্ডিত দলটির প্রধান ইমরান খান পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন। শাহবাজ সরকার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর এখন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছে এবং নিয়মানুয়াী ৯০ দিনের মধ্যে তাদের নির্বাচন আয়োজন করার কথা। পিটিআই মুখপাত্র বুখারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহ মেহমুদকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তিনি একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকে পাকিস্তানে চলতে থাকা সব অত্যাচার এবং প্রাক-নির্বাচন কারচুপির বিরুদ্ধে পিটিআই-এর অবস্থানকে পুনরায় নিশ্চিত করার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ঠিকানা/এম