Thikana News
২৪ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
৩৬শে জুলাই

একটি সৃজনশীল গণঅভ্যুত্থান-১

‘৩৬শে জুলাই’-এর ব্যাখ্যা দিই। গত বছরের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নেতৃত্বে যুগান্তর সৃষ্টিকারী যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল এবং পরে যা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রূপ গ্রহণ করে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে শেষ হয়, সে আন্দোলনকে নানা সময় নানা নামে অভিহিত করা হয়।
একটি সৃজনশীল গণঅভ্যুত্থান-১
‘স্লোগান দিতে গিয়ে আমি বুঝতে শিখি/ কে ভাই কে দুশমন।/ ... স্লোগান দিতে গিয়ে আমি/ সবার সাথে আমার দাবি/ প্রকাশ্যে তুললাম।’ গানটি গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। এতে স্লোগানের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়েছে। ‘আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলায় গান গাই/ আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই।’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে দুই বাংলার শ্রোতার কাছে তিনি পূর্ব থেকেই সুপরিচিত ও লব্ধপ্রতিষ্ঠ ছিলেন।

প্রথমে শিরোনামের ‘৩৬শে জুলাই’-এর ব্যাখ্যা দিই। গত বছরের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নেতৃত্বে যুগান্তর সৃষ্টিকারী যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল এবং পরে যা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রূপ গ্রহণ করে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে শেষ হয়, সে আন্দোলনকে নানা সময় নানা নামে অভিহিত করা হয়। তার মধ্যে ‘৩৬শে জুলাই’ এরূপ একটি নাম ছিল। জুলাই-আগস্ট মিলে একটানা ৩৬ দিন আন্দোলনের গতিবেগ ও প্রবাহধারা অব্যাহত ছিল। ৩ আগস্ট ‘অসহযোগ আন্দোলনে’র কর্মসূচি পালনে অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম যে বক্তব্য দেন, তাতে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো আগস্টে যাইনি। এই জুলাই হত্যার বিচার করেই আমরা আগস্টে যাব।’ আন্দোলনের অবিচ্ছিন্নতা ও ধারাবাহিকতা বোঝাতে ৩৬শে জুলাই অভিধাটি ব্যবহৃত হয়। ছাত্ররা ‘জুলাই ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ করেছেন, তাতে ৩৬ দিনের ঘটনাবলির সালতামামি দেওয়া হয়েছে। এটি ‘আলমনাক ক্যালেন্ডারে’র একটি প্রলম্বিত কল্পিত রূপ।

একে ‘সৃজনশীল আন্দোলন’ বলছি কেন? ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে বহু আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। ’৭১ সালে মহত্তম ঐতিহাসিক ঘটনা ‘মুক্তিযুদ্ধ’ হয়েছে। ’৬৯ সালে ইয়াহিয়াবিরোধী এবং ’৮৯ সালে এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। ’২৪ সালে শেখ হাসিনাবিরোধী গণঅভ্যুত্থান হলো। এটি জাতির ইতিহাসে নানা দিক থেকে গুরুত্ব বহন করে। ১৬ বছর ধরে যে সন্ত্রাসী দুঃশাসন, দুর্নীতি ও জাতীয় সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে, তাতে লোকের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও ক্রোধের বিস্ফোরণ ঘটে এই আন্দোলনের মাধ্যমে। সারা দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভুক্তভোগী ও সব শ্রেণির সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে শরিক হয় এবং নিজ নিজ অবস্থানে থেকে প্রতিবাদ-প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অসংখ্য স্লোগান, ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছেন, কবিরা রচনা করেছেন আবেগদীপ্ত কবিতা, সংগীতশিল্পীরা গান রচনা করে ও সভা-সমাবেশে গেয়ে শ্রোতাদের মাতিয়েছেন, নাট্যশিল্পীরা পথনাটক পরিবেশন করেছেন, চিত্রশিল্পীরা লিখেছেন অজস্র দেয়াললিখন আর চিত্রিত করেছেন গ্রাফিতি, কার্টুনিস্টরা এঁকেছেন ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ করে প্রতিবাদী কার্টুন। খোদ আন্দোলন চলাকালে সকল ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে আন্দোলনকেন্দ্রিক এসব সৃষ্টি ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে নিঃসন্দেহে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে। একেই আমরা ‘সৃজনশীল আন্দোলন’ বলে আখ্যাত করেছি। এমন বর্ণিল, বিচিত্র ও হৃদয়গ্রাহী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অন্য কোনো আন্দোলনে দেখা যায়নি। আন্দোলনের পীঠভূমি সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলে সৃষ্টিকর্মে বৈচিত্র্য এসেছে।

আমরা প্রথমে আন্দোলনে প্রাণ ও শক্তিস্বরূপ ‘স্লোগানে’র কথা বলব। আন্দোলন চলাকালে কত স্লোগান লেখা হয়েছে এবং মিছিল-সমাবেশে সোচ্চারে বলা হয়েছে, তার পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই। এ-যাবৎ কেউ তা করেননি। আমরা সমকালের পত্রপত্রিকা, নানা নিবন্ধ-কথিকা, দেয়াললিখন ইত্যাদি উৎস থেকে যেসব স্লোগান সংগ্রহ করতে পেরেছি, এখানে সেসব উল্লেখ ও তাৎপর্য বিশ্লষণ করেছি। স্লোগান আন্দোলনে কেবল প্রাণরস সঞ্চার করে না, আন্দোলনকে সোচ্চার, গতিশীল ও বেগবান করে তোলে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইস্যু যা-ই হোক, আন্দোলনের দুটি পক্ষ থাকেÑযারা আন্দোলন করে, তারা এক পক্ষ; আর যাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হয়, তারা অপর পক্ষ বা বিপক্ষ অথবা প্রতিপক্ষ। আবার যেহেতু কোনো কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও বিক্ষোভ জানাতে আন্দোলন হয়, সেহেতু স্লোগানের ভাষায় ক্ষোভের ও প্রতিবাদের সুর থাকে। প্রতিক্রিয়া থেকে আন্দোলন হলে স্লোগানের ভাষায় তার প্রতিফলন থাকে। কোনো কিছুর প্রতিকারের দাবিতে আন্দোলন হলে স্লোগানের ভাষায় সে দাবির কথা প্রকাশ পায়। আন্দোলনের প্রকৃতি অনুসারে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ ও ব্যঙ্গ করেও স্লোগান লেখা হয়।

স্লোগানের ইতিহাস নতুন নয়। অনেক দেশে স্লোগানের ঐতিহ্য রয়েছে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক স্লোগান জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করে। ভারত বিভাগের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের স্লোগান ছিল ‘জয় হিন্দ’, ‘ভারতমাতা কি জয়’। আর মুসলিম সম্প্রদায়ের স্লোগান ছিল ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ ইত্যাদি। ভাষা আন্দোলনে আমাদের স্লোগান ছিল ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। মুক্তিযুদ্ধে স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’ ইত্যাদি। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের স্লোগান ছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক‌, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। ফরাসি বিপ্লবে স্লোগান ছিল ‘কবিতা এখন রাজপথে’। কিউবা আন্দোলনে চে গুয়েভারার স্লোগান ছিল ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’। ‘আমেরিকা গ্রেট’ (আমেরিকা মহান) স্লোগান দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে বাজিমাত করেন। যথার্থ ইস্যুতে যথার্থ স্লোগান জনচিত্তকে আলোড়িত, উদ্বুদ্ধ ও উদ্দীপিত করে।

জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে নানা সময়ে নানা ধরনের স্লোগানের জন্ম হয়। চলচ্চিত্রনির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আপনারা যারা ভাবছেন, আন্দোলনটা স্রেফ একটা সরকারি চাকরির জন্য, তারা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সব কয়টি স্লোগান খেয়াল করেন, দেখবেনÑএই আন্দোলন নাগরিকের সমমর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আছেন তাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে, দেশের মালিক তারা নন, আসল মালিক জনগণ। সেই জনগণকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন তার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও স্লোগান আকারে শুনেছি।’ (প্রথম আলো, ২৬ জুলাই)

কে এম রাকিব একটি নিবন্ধে বলেন, ‘স্লোগান রাজনীতির মাঠ থেকে উচ্চকিত সুরধ্বনি। স্লোগান রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা আর ক্ষোভের ভাষা। সময়োপযোগী একটা স্লোগান জটিল রাজনৈতিক ভাবকে সহজ ভাষায় মানুষের মাথায় গেঁথে দিয়ে কাজ করতে পারার মোক্ষম অস্ত্র। ... স্লোগানের একটা গণচরিত্র থাকে। এতে গণদাবি মূর্ত হয়ে ওঠে। ... জুলাই ২৪ অভ্যুত্থানের স্লোগানগুলো ইতিহাসের অনন্য দলিল, কালপঞ্জি। এই জেন-জির অভ্যুত্থানের স্লোগানগুলো আলোচনার দাবি রাখে। কারণ স্লোগান একটি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক সময়কেই শুধু তুলে ধরে না, একটি সংস্কৃতির পথরেখাও দেখায়।’ (প্রথম আলো, ‘বিদ্রোহে-বিপ্লবে’, ২২ আগস্ট ২০২৪)

জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনার ক্রমানুযায়ী নানা ইস্যু তৈরি হয়েছে এবং সে ইস্যু অনুসারে নতুন নতুন স্লোগান রচিত হয়েছে। আন্দোলনের প্রথম দিন ছাত্রদের মিছিলে মুখ্য স্লোগান ছিল ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’। আর শেষ দিন পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার পলায়ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে উল্লসিত জনতা স্লোগান দেয় ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, স্বৈরাচার গেল কই’, ‘পালাইছে রে পালাইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে।’

৩৬ দিনের আন্দোলনে কী সংখ্যক স্লোগান তৈরি হয়, তার পরিসংখ্যান আমাদের জানা নেই। যারা স্লোগান লেখেন এবং মিছিল-সমাবেশে উচ্চারণ করেন, তাদের কাছে রেকর্ড থাকতে পারে। আমি সমকালের কয়েকখানি পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন লেখা থেকে অর্ধশতাধিক স্লোগান সংগ্রহ করেছি, যার ওপর ভিত্তি করে আজকের আলোচনার সূত্রপাত। প্রথম ১৪ দিনের স্লোগানগুলো ছিল এরূপ : ১. কোটা না মেধা, মেধা মেধা। ২. মুক্তিযুদ্ধের মূল কথা, সুযোগের সমতা। ৩. মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই। [অনুরূপ : একাত্তরের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই।] ৪. সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে। ৫. দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক। [প্রথম আলো, ৫-৭-২৪] ৬. কোটা বৈষম্য নিপাত যাক‌, মেধাবীরা মুক্তি পাক। [৩১ জুলাই ছাত্র-জনতার মিছিলে একজন শিক্ষার্থীর খালি পিঠে সাদা কালিতে লেখা হয়েছে ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক‌, মেধাবীরা মুক্তি পাক। ১৯৮৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে নূর হোসেন পিঠে লেখেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক‌, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। এটাই স্লোগানটির উৎস।] ৭. মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো। ৮. আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৫-৭-২৪)। ৯. সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা। ১০. জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে। ১১. লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। ১২. কোটা প্রথা বাতিল চাই বাতিল চাই। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৮-৭-২৪)। ১৩. সারা বাংলা ব্লকেড, ব্লকেড, ব্লকেড। ১৪. হাইকোর্ট না শাহবাগ, শাহবাগ শাহবাগ। ১৫. কোটা নাকি মেধা আগে, জবাব চাই শাহবাগে। ১৬. ১৮-এর পরিপত্র, বহাল করতে হবে। (ঐ, ১১-৭-২৪)। ১৭. সমতল থেকে পাহাড়, এবারের মুক্তি সবার। -গ্রাফিতি

আমরা বলেছি, ১৪ জুলাই পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন ছিল নিরীহ ও অরাজনৈতিক। উদ্ধৃত স্লোগানগুলোতে তার প্রতিফলন রয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন; তাই সাতটি স্লোগানে ‘কোটা’ শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। মেধার ভিত্তিতে চাকরির দাবি; তাই চারটি স্লোগানে মেধা/মেধাবী শব্দ সংযুক্ত হয়েছে। ৫ জুলাই রাজধানীর কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে ছাত্ররা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করে। ১৩ নং স্লোগান তারই প্রেক্ষাপটে রচিত। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের প্রধান কেন্দ্র ছিল শাহবাগ চত্বর। সেই কারণে ১৪ ও ১৫ নম্বর স্লোগানে ‘শাহবাগে’র প্রসঙ্গ এসেছে। ১৪ নম্বরে ‘হাইকোর্টে’র প্রসঙ্গ এসেছে এই কারণে যে, শিক্ষার্থীরা কোটা বিলোপের দাবি করছে সরকারের কাছে। সরকার বলছে, বিচারাধীন থাকায় বিষয়টি হাইকোর্টের এখতিয়ারভুক্ত, রায় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ নিয়ে আন্দোলন শিক্ষার্থী, সরকার ও উচ্চ আদালতের মধ্যে দিন কতক ঘুরপাক খায়। ৮ ও ১৬ নং স্লোগানে ‘আঠারো’ তথা ২০১৮ সালের প্রসঙ্গ এসেছেÑওই বছর কোটাপ্রথা নিয়ে প্রবল আন্দোলন হয়, নূর হোসেন নূর এতে নেতৃত্ব দেন। ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী কোটাপদ্ধতি বাতিল করেন এবং ৪ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সরকারের পক্ষ থেকে উক্ত মর্মে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। এটাই হলো ‘১৮-এর পরিপত্র’। [চলবে]
 

কমেন্ট বক্স