Thikana News
২৩ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সরাসরি  শান্তি আলোচনা’ চান পুতিন

ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সরাসরি  শান্তি আলোচনা’ চান পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় রোববার মস্কোতে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি



 
ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সরাসরি শান্তি আলোচনা’ শুরু করতে আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় ১০ মে (শনিবার) রাতে ক্রেমলিন থেকে একটি টেলিভিশন ভাষণে পুতিন বলেন, আমরা এমন একটি আলোচনা চাই যা প্রকৃত সমাধানের দিকে এগিয়ে যাবে এবং দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল শান্তির পথ উন্মুক্ত করবে। খবর বিবিসির।

এই বক্তব্য এমন এক সময় আসলো যখন মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ ইউরোপিয় নেতারা ইউক্রেন সফরে গিয়ে রাশিয়াকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এই প্রস্তাব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে, তবে তিনি সতর্ক করেন, চাপে ফেললে কিছুই হবে না।
পুতিন জানান, আলোচনার জন্য তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলকে স্থান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে এবং তিনি রোববার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা করছেন।

এদিকে, ইউক্রেন এখনও পুতিনের প্রস্তাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে ইউরোপীয় নেতারা কিয়েভে ‘কোয়ালিশন অফ দ্য উইলিং’-এর বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে ‘ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করা হবে। এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ফোনে অংশ নেন এবং তিনিই প্রথম নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।

বৈঠক শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বলেন, “যদি পুতিন সত্যিই শান্তি চান, তাহলে তার এখনই সুযোগ আছে সেটা প্রমাণ করার।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এজন্য ধন্যবাদ। আমরা আজ বাস্তব ও দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা গড়ে তোলার বিষয়ে মনোযোগী। পুতিন তাঁর ভাষণে আরও অভিযোগ করেন, ইউক্রেন আগে রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে কোনো সাড়া দেয়নি – যার মধ্যে ছিল ৩০ দিনের অবকাঠামো হামলা বিরতি, ইস্টারের যুদ্ধবিরতি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মরণে ঘোষিত সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি।

তবে ইউক্রেন দাবি করেছে, এই সময়েও রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। রাশিয়াও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছে।
পুতিন বলেন, সবকিছুর পরেও আমরা কিয়েভ সরকারকে সরাসরি আলোচনা আবার শুরু করার প্রস্তাব দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ সরাসরি আলোচনা হয়েছিল তিন বছরেরও বেশি সময় আগে।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স