দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলছে যুদ্ধ। ভারত-পাকিস্তানের এমন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে খেলাধুলার ওপরও। নিরাপত্তা ইস্যুতে আইপিএল স্থগিত করা হয়েছে। একই কারণে পাকিস্তান সুপার লিগও (পিএসএল) স্থগিত করা হয়েছে।
আইপিএল, পিএসএল দুই টুর্নামেন্টই এসে পড়েছে শেষ ভাগে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে অর্থের ঝনঝনানিতে পরিপূর্ণ আইপিএলের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজনের অনুরোধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) করেছিল। এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও সুপারের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে যোগাযোগ করে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আমিরাতে আয়োজনের অনুরোধ করে ভারত। কিন্তু পিএসএলের স্থগিত ম্যাচগুলো আয়োজন করতে পিসিবি এরই মধ্যে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে বেছে নিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইসিবি জানিয়েছে, পিএসএলের জন্য ভেন্যু আগেই নির্ধারিত হওয়ায় আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব নয়।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছে বৃহস্পতিবার সকালে একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছিল। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি জানিয়েছিল, ড্রোনটি ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে। ফলে পিএসএল স্থগিত করা হয়েছে। আমিরাতে পিএসএলের বাকি অংশ আয়োজনের বিষয়টি পিসিবি বৃহস্পতিবার রাতেই চূড়ান্ত করে ফেলেছে। পরে বোর্ডের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
ধর্মশালায় বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব কিংস-দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে ৬১ বল খেলা হওয়ার পর পরিত্যক্ত হয়েছে। প্রথমে ফ্লাডলাইটে গোলযোগ থাকার কথা জানানো হলেও ক্রিকবাজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিরাপত্তা শঙ্কায় ম্যাচটি বাধ্য হয়ে মাঝপথে বাতিল করা হয়েছে। পরে এক চিয়ারলিডারের কথা থেকে জানা যায়, বোমার আতঙ্ক তখন কাজ করছিল সবার মনে। পাঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচ বাতিলের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই আইপিএল স্থগিত করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শুক্রবার এক জরুরি সভায় আইপিএল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিল। টুর্নামেন্টের বাকি সূচি ও ভেন্যু নতুন করে পর্যালোচনার পর ঘোষণা হবে। এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমে ৫৮টি ম্যাচ হয়েছে লিগ পর্বে। প্লে-অফের আগে বাকি আছে আরও ১২ ম্যাচ। কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর, ফাইনালসহ ১৬ ম্যাচ হওয়ার কথা। আর পিএসএলের বাকি আছে ৮ ম্যাচ; যার মধ্যে লিগ পর্বের ম্যাচ চারটি।
ঠিকানা/এনআই