ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের টাকা দিয়ে রাজনৈতিক দল করা হয়নি। দল প্রতিষ্ঠায় তেমন টাকাও লাগেনি। দলের সবাই মিলেই টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে এমন দাবি করেছেন ডেসটিনি গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নবগঠিত বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। তবে তিনি স্বীকার করেন, ট্রি প্ল্যান্টেশনের জন্য যারা বিনিয়োগ করেছিলেন, তাদের অধিকার আছে পাওনা টাকা চাওয়ার।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) সরাসরি সম্প্রচারিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জনতা পার্টি বাংলাদেশ-এর মহাসচিব শওকত মাহমুদ। ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন উপস্থাপিত টকশোতে সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা বলেন দুই অতিথি।
বহু স্তর বিপণন (এমএলএম) কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আলোচিত-সমালোচিত একজন উদ্যোক্তা রফিকুল আমীন। ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির অর্থ পাচার করার মামলায় তিনি ১২ বছর সাজাও খেটেছেন। সাজার মেয়াদ শেষ হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় তিনি মুক্ত হন। নিজের ব্যবসায় সক্রিয় হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই তিনি সম্প্রতি নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তার দাবি, ‘আমি আসনপ্রত্যাশী নই, পদও প্রত্যাশা করি না। এসবের জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। ফ্যাসিবাদী আমলে আমি নির্যাতনের শিকার হয়েছি। নানা ক্ষেত্রে তখন দুর্নীতি দেখেছি। কারামুক্ত হলে এগুলোর প্রতিবাদ করব, আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। তার জন্যই এখন দল করেছি, রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি।’
এদিকে তিন দশকের বেশি সময় ধরে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তার নেতৃত্বে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে রাজনৈতিক যাত্রাপথ সম্পর্কে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত রাজনীতিক শওকত মাহমুদ বলেন, ‘ইলিয়াস কাঞ্চন নিরাপদ সড়কের সার্থক আন্দোলন করেছেন। তার উপলব্ধি হচ্ছে- রাজনীতিতে সক্রিয় না হলে সড়কের সমস্যাগুলোর স্থায়ী কোনো সমাধান করা যাবে না। কারণ এই খাতে যে দুর্বৃত্তায়ন, তার সঙ্গে রাজনীতির যোগসূত্র রয়েছে। তিনি যখন আমাকে বললেন নতুন পার্টির কথা, তখন আমি দেখলাম এনসিপিও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। তখন আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন দল করব।’
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে অনেকে ‘কিংস পার্টি’ বলছেন। এগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের বা কোনো সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে- এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে জনতা পার্টি বাংলাদেশ-এর মহাসচিব শওকত মাহমুদ দাবি করেন, ‘আমাদের সঙ্গে কোনো সংস্থার কোনো যোগাযোগ নেই। আমরা নিজেদের মতো রাজনীতি করছি। নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে দল চালাচ্ছি।’ সমন্বয়কদের রাজনৈতিক দল এনসিপিকে কোনো কোনো উপদেষ্টা হয়তো সহযোগিতা করতে পারেন, বলেন শওকত মাহমুদ।
ঠিকানা/এনআই
                           
                           
                            
                       
     
  
 


 ঠিকানা অনলাইন
 ঠিকানা অনলাইন  
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
