নিউইয়র্কসহ য্ক্তুরাষ্ট্র ও কানাডার শতাধিক সিনেমা হলে আগামী ২৫ আগস্ট শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে অ্যাকশন নির্ভর সিনেমা ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’। কানাডা ও আমেরিকার পরিবেশক হিসাবে সিনেমাটি স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর বিশ নম্বর সিনেমা। ব্যবসায়িক দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রিমিয়াম লিস্টে আছে আয়নাবাজি, ঢাকা এটাক, দেবী, হাওয়া এবং সবশেষ প্রিয়তমা যা এখনও চলছে । স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো জানিয়েছে- উত্তর আমেরিকায় সবচেয়ে বেশী থিয়েটারে মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটি। ইতোমধ্যে যে পরিমাণ থিয়েটারের কনফার্মেশন পাওয়া গেছে সে অনুযায়ী সংখ্যা বাড়তেও পারে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সিনেমার মাঝে সবচেয়ে বেশী একানব্বই থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে ‘পাপপূণ্য’। ‘হাওয়া’ মুক্তি পেয়েছিল ছিয়াশি থিয়েটারে। ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’-এর বিশেষ দিক হলো এটি বাংলাদেশের সাথে আমেরিকারও সিনেমা। তাই আন্তর্জাতিক চেইনগুলো একে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। সিনেমাটিতে এমন অনেক কিছুই দেখাবেন তিনি যা আগে আমরা দেখি নাই।
‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ সিনেমাটি আমেরিকা ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি। বিশ্বব্যাপী দুটি ভাষায় সিনেমাটি রিলিজ হবে। চিত্রনাট্য লিখেছেন আসিফ আকবর, নাজিম উদ দৌলা এবং আবদুল আজিজ । দেশের বাইরে এবং দেশের কিছু মাল্টিপ্লেক্সে ইংরেজি ভার্সনটিও দেখা যাবে। বাংলা সাবটাইটেল থাকবে। কিছু মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গেল স্ক্রিণে দেখা যাবে বাংলা ডাবড ভার্সনটি।
মূলত ‘ধ্বংস পাহাড়’ উপন্যাসের মূল থিমের উপর ভিত্তি করেই এই সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। মাসুদ রানার ভূমিকায় আছেন এবিএম সুমন, সুলতা দেবির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান, প্রধান অ্যান্টাগনিস্টের ভূমিকায় আছেন হলিউডের অভিনেতা ফ্র্যাংক গ্রিলো, বিসিআই টেক এক্সপার্টের ক্যারেক্টার করেছেন অমি ভাইদ্যা, রাহাত খানের চরিত্রে আছেন শহীদুল আলম সাচ্চু। এছাড়াও আছেন মাইকেল জাই হোয়াইট, নিকো ফস্টার, আনিসুর রহমান মিলন,টাইগার রবি, জেসিয়া প্রমুখ। উপন্যাসের বাইরেও কিছু চরিত্র বর্তমান সময়ের আলোকে যুক্ত করা হয়েছে। যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটির প্রযোজনায় আছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফিল্ম পোস্ট, চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস,আল ব্রাভো ফিল্মস এবং বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া।
ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকি কেজ।