সুযোগ মিস করতে রাফিনিয়া ছিলেন ওস্তাদতুল্য। এ নিয়ে কম সমালোচনা সহ্য করতে হয়নি এই উইঙ্গারকে। ব্রাজিলিয়ান তারকা সেই অপবাদ পিছনে ফেলে এসেছেন। তার এই যে পরিবর্তন, সেটা আসলে এবারের মৌসুমে। বার্সার হয়ে আগের মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৭ ম্যাচে তার ছিল ১০ গোল। কিন্তু এবার ৫১ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৩০, গোল করিয়েছেন আরও ২৫টি!
বোঝাই যাচ্ছে, রাফিনিয়া সময়টা বেশ উপভোগ করছেন। এমন স্মরণীয় মৌসুম কাটানোর পথে এই ফরোয়ার্ড ভেঙে দিয়েছেন বার্সায় লিওনেল মেসির রেকর্ড। বার্সার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদানের রেকর্ড এখন রাফিনিয়ার। শুধু বার্সা নয়, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের মধ্যেও চ্যাম্পিয়নস লিগে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান তার।
৩০ এপ্রিল (বুধবার) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বার্সেলোনার মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৩-৩ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে ইন্টার মিলান। ম্যাচে একটি অ্যাসিস্ট করেই সাবেক বার্সেলোনার তারকা মেসির রেকর্ড ভেঙেছেন রাফিনিয়া। ব্রাজিলের এই উইঙ্গার পেদ্রির বাড়ানো ক্রস থেকে হেড করে বল পাঠান ইন্টারের বক্সে, সেখান থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে দলকে সমতায় ফেরান তোরেস।
ইউরোপের শীর্ষ টুর্নামেন্টটিতে এবারের মৌসুমে ১২ গোল করার পাশাপাশি ৮ গোল করিয়েছেন রাফিনিয়া—অর্থাৎ ২০ গোলে অবদান। ২০১১-১২ মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৯ গোলে অবদান রেখেছিলেন মেসি, যার ১৪টি করেন নিজে এবং অ্যাসিস্ট করেন পাঁচটিতে। সর্বোচ্চ গোলে অবদান রাখার রেকর্ডটা এখনও পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।
২০১৩-১৪ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২১ গোলে অবদান রাখেন সিআর সেভেন। আর একটি গোল কিংবা অ্যাসিস্ট করলেই তাকে ছুঁয়ে ফেলবেন রাফিনিয়া। এর সাথে আর একটি মাত্র অ্যাসিস্ট করতে পারলেই বার্সার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক মৌসুমের সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করা ফুটবলারদের একজন হবেন তিনি। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমের ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে কাতালানদের হয়ে সর্বোচ্চ নয়টি অ্যাসিস্ট করেন ক্লাবটির সাবেক ফুটবলার লুইস ফিগো।
তাই ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফিরতি লেগের বাধা পার হয়ে ফাইনালে উঠতে পারলে রাফিনিয়ার সুযোগ আরও বাড়বে। এক সময়ে ফুটবল ছেড়ে দিতে চাওয়া রাফিনিয়া যে এই রেকর্ড নিজের করে নিতে চাইবেন, সেটি আর না বললেও চলে।
ঠিকানা/এএস