পাঠাও-এর সাবেক সিইও হুসেন এম এলিয়াসের তৈরি ব্লকচেইন-ভিত্তিক পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ‘উইন্ড’ অধিগ্রহণ করেছে বাংলাদেশী-আমেরিকান উদ্যোক্তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মার্কিন-ভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি রিভার।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্বাধিক ব্যবহৃত রাইড-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে পাঠাও-এর নেতৃত্বদানকারী এলিয়াস, রিভারে সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন। ব্লকচেইন-ভিত্তিক লেনদেনে তার অ্যাপ ‘উইন্ড’ এখন রিভারপ্লেতে একীভূত হবে, যা ফ্রিল্যান্সার, অভিবাসী কর্মী এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য আন্তঃসীমান্ত আর্থিক এবং ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানের জন্য ডিজাইন করা একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম।
রিভারপ্লে বিশ্বব্যাপী প্রবাসী কর্মীদের, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের, দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সহায়তা করবে। প্ল্যাটফর্মটি স্ট্যাবলকয়েনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অর্থপ্রদান সহজতর হবে, কম খরচে রেমিট্যান্স প্রেরণ এবং বহু-মুদ্রা ওয়ালেট প্রদান করে ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিকল্প অফার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এতে বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের সহায়তা করার জন্য বঝওগ সংযোগও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এই উদ্যোগটি বিশেষভাবে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের উপর দৃষ্টি কাড়ে, যেখানে চধুচধষ-এর মতো পরিষেবার অনুপস্থিতি এবং প্রচলিত রেমিট্যান্স চ্যানেলের সঙ্গে সম্পর্কিত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চ লেনদেনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া জরাবৎচধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয় দেশেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা রুহিন হোসেন, মুশারাত এবং ইয়াসের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, জরাবৎ বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য একটি টেলিকম সমাধান প্রদানকারী হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রথম বছরে কোম্পানিটি ১০ মিলিয়ন আয় করেছে এবং এখন বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে ১ লাখ ৩০ হাজারের বশি ব্যবহারকারীকে পরিষেবা প্রদান করে। জরাবৎচধু যোগ করার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিটি একটি বৃহত্তর ‘সুপার অ্যাপ’ মডেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা একই প্ল্যাটফর্মে আর্থিক প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ পরিষেবাগুলোকে একত্রিত করে।
রিভার টেলের সিইও রুহিন হোসেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। আমরা কেবল বিদেশী প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নই, আমরা বিশ্বব্যাপী অবকাঠামোর পরবর্তী তরঙ্গ তৈরি নিয়েও কাজ করছি। যার কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, ‘রিভার’ এবং ‘উইন্ড’ উভয়ই বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত। যা বিশ্বে উদীয়মান বাজারগুলোকে সেবা প্রদানকারী ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরির একটি বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে।
এ বিষয়ে রিভারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিটিও হুসেন এম ইলিয়াস বলেন, আমাদের বাংলাদেশিরা বিশ্বের সর্বত্র রয়েছে। কিন্তু আমাদের সিস্টেমগুলো বিশ্বব্যাপী তেমনভাবে সমর্থন করে না। আমরা এমন সরঞ্জাম তৈরি করছি যা, আমাদের জনগণের উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে মিল রয়েছে। এখন সময় এসেছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার- যা আমাদের পক্ষে কাজ করে, আমাদের বিরুদ্ধে নয়।