Thikana News
২৪ এপ্রিল ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

আনন্দ-উচ্ছ্বাসে কমিউনিটিতে চলছে বাংলা বর্ষবরণ

শীত কাটিয়ে জেগে উঠছে কমিউনিটি ব্যস্ততা বাড়ছে আঞ্চলিক সংগঠনের
আনন্দ-উচ্ছ্বাসে কমিউনিটিতে চলছে বাংলা বর্ষবরণ সংগৃহীত
প্রবাসে বাঙালি কম্যুনিটিকে নানা উদযাপনে মেতে থেকে ভুলে থাকতে হয় দেশ ছেড়ে আসার বেদনা। একসময় কম্যুনিটিতে মানুষের সংখ্যা ছিলো কম। আয়োজনের পরিসরও ছিলো ছোট। এখন দিনে দিনে কম্যুনিটির পরিসর বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে উদযাপনের পরিসর, বর্ণময়তা, বৈচিত্র। যোগ হচ্ছে, ঢাকঢোল, গ্রামীণ বাংলার নানাপদের পিঠা-পুলি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে আসছেন বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গীত এবং অন্যান্য শিল্পী। অ্যাপায়ন থেকে সঙ্গীত পবিবেশনা-সবকিছুতেই চাকচিক্য, আলোর ঝলকানি। চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। মন ভরিয়ে দেয়। ঈদ, পার্বন, সংস্কৃতির পরিবেশনা, সাহিত্য সম্মেলন, ইফতার পার্টি, সেহরি পার্টি, বর্ষবরণ, বনভোজন, মন ভুলানো আরও কত কিছু। 
এই যেমন এপ্রিল যাচ্ছে বাংলা ১৪৩২ বর্ষবরণে। তার আগে ঈদুল ফিতর। ইফতার পার্টি। বর্ষবরণের আমেজ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বনভোজন। কম্যুনিটি লিডারদের ব্যস্ততার শেষ নেই। 
কিছুদিন আগে পবিত্র রমজান উপলক্ষে কমিউনিটি মুখর ছিলো ইফতার আয়োজনে। এখন শুরু হয়েছে নতুন বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। গেলো সপ্তাহে বর্ণাঢ্য বাংলাদেশ ডে প্যারেড আর বৈশাখের অনুষ্ঠানে উত্তাল ছিলো নিউইয়র্কের বাঙালিপাড়াগুলো। বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা। নতুন বছরকে বরণ করতে নানা অনুষ্ঠানমালার সাথে যোগ হয়েছে ঈদ পুনর্মিলনী। এর পাশাপাশি চলছে বসন্তকালীন ও পিঠা উৎসব। ব্যক্তি, সংগঠনের উদ্যোগে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। বাঙালির ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বৈশাখের অনুষ্ঠানগুলোতে। পুরুষরা পরছেন পাঞ্জাবি, নারীরা শাড়ি। যোগ দেন মূলধারার রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গ্রামীণ নাট্য, কবিতা-পুঁথি, নাচ-গানে ভরপুর বৈশাখের অনুষ্ঠানে ইলিশ-পান্তার সাথে বিভিন্ন প্রকারের ভর্তা দিয়ে পরিবেশন করা হয় বৈশাখী খাবার। ছিলো পান-সুপারি বা মিষ্টান্নেরও আয়োজন। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই অংশ নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক প্রবাসী। তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে একরাশ আনন্দ নিয়ে ঘরে ফিরেছেন তারা। 
এদিকে গ্রীষ্ম সমাগত। শীতের বিদায় ঘটছে। গ্রীষ্মকে বরণ করতে জেগে উঠছে কমিউনিটি। সামাজিক সংগঠনসমূহের কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা বাড়ছে। বনভোজন, সাংস্কৃতিক, বিয়ে-সাদীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততা চলছে কমিউনিটিতে। আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে স্কুল-কলেজে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হবে। এরই সাথে পাল্লা দিয়ে আয়োজন করা হবে আঞ্চলিক সংগঠনের ব্যানারে পৃথক পৃথক বনভোজনের অনুষ্ঠান। নিউইয়র্ক ও নিউইয়র্কের বাইরে বিভিন্ন পার্ক প্রবাসীদের উপস্থিতিতে মুখর থাকবে প্রায় দুই মাস। অনেকে সন্তান-সন্ততি নিয়ে দেশে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। 
গত সপ্তাহে কমিউটিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠান করে আরো বেশ ক’টি সংগঠন। 
চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা : কবিগুরুর এই গানের প্রতিটি চরণের প্রতিফলন ছিল গত ১৯ এপ্রিল শনিবারের চট্টগ্রাম সমিতির ‘পহেলা বৈশাখ এবং ঈদ পুনর্মিলনী’র আয়োজনে। বিকেল  থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পেরিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত রঙের  মেলা জমেছিলো চট্টগ্রাম ভবন এবং তার আশপাশের এলাকায়। এ যেন রঙের মেলা, প্রাণের  মেলা! নানা বয়সী মানুষের ভিড়ে লোকারণ্য হয়ে যায় পুরো এলাকাটি, বিশেষ করে নারীদের উপস্থিতি ছিল অবাক করার মতন। নানা উৎসবমুখর সাজে সকলে সেজেছিলেন এবং সাজিয়ে ছিলেন। ভবনের প্রবেশদ্বারে ছিল অতি আকর্ষণীয় সাজসজ্জা, আর ভেতরে বৈশাখী এবং ঈদ এর থিম দিয়ে সাজানো হয়, যা কিনা সকল অভ্যাগতদের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে। আর অতিথিরাও এসেছিলেন দূর দূরান্ত থেকে। বস্টন, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, কানেক্টিকাট, ব্রঙ্কস, কুইন্স, স্ট্যাটেন আইল্যান্ড, লং আইল্যান্ড কোনো এলাকাই বাদ পড়েনি। আর হোস্ট কাউন্টি ব্রুকলিনতো আছেই।
বিকেলে আগত অতিথিদের আপ্যায়ণ করা হয় নানা ধরণের দেশীয় হাতে তৈরি পিঠাপুলি দিয়ে, ছিল মচমচে মুড়ি আর ছোলা, গরম গরম জিলাপি ছিল সুপারহিট। আর চটপটির স্ট্যান্ডে হুমড়ি  খেয়ে পড়েছিলেন মেয়েরা। ছেলেরাও বাদ যাননি। সবশেষে ছিল গরমাগরম চা! শিশুদের জন্য ছিল  খেলনা এবং চকোলেট এর ছড়াছড়ি। 
মাগরিবের নামাজের পরপরই শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান- সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের। তিনি তার বক্তব্যে বলেন- সকল চট্টগ্রামবাসীর মিলনকেন্দ্র চট্টগ্রাম সমিতি, সকলের অংশগ্রহণেই পূর্ণতা পাবে এই সংগঠন। ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক হবার আহব্বান জানান জনাব তাহের। 
এই পর্বে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহিম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক সভাপতি কাজী শাখাওয়াত হোসেইন আজম, সাবেক ট্রাস্টি বোর্ডের কো চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠাতা ট্রেজারার শামসুল আলম, নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মোহাম্মদ  সেলিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মোর্শেদ রিজভী, অন্তর্র্বতীকালীন কমিটির সদস্য নুরুল আনোয়ার, আবুল কাসেম চট্টলা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু
তালেব চৌধুরী চান্দু, আজীবন সদস্য সারওয়ার হোসেন, সমিতির সাবেক কার্যকরী সদস্য কামাল হোসেন মিঠু,সাবেক অডিট কমিটির সদস‍্য  ইব্রাহিম দিপু, ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর, সংগঠক সৈয়দ অম বাবর, সৈয়দ হেলাল মাহমুদ, রাজনীতিবিদ খোরশেদ খন্দকার, সাবেক  কোষাধ্যক্ষ দিদার আহমেদ, জামাল চৌধুরী, বিশিষ্ট কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট, সিপিএ শ্রাবনী, সাবেক সহ সভাপতি ফোরকান আহমেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন কে চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন চৌধুরী লিটন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশ্রাব আলী লিটন, কানেকটিকাট থেকে আগত নাজিম চৌধুরী, আবুল কালাম, বাসন আলী, নিউজার্সি থেকে মোহাম্মদ আল মামুন,  মোহাম্মদ সেলিম, উত্তম দাস, পেনসিলভেনিয়া  থেকে কাজী মনসুর কাইয়ুম, আমির হোসেন, ফেরদৌস ইসলাম, তৈয়ব উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, কলিম উদ্দিন, জিয়াউল হক মিজান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ দিদারুল আলম প্রমুখ। 
বিশিষ্ট অথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল কাদের মিয়া, নিউইয়র্ক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি লাবলু আনসার, সন্দ্বীপ  পৌরসভা কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী জাফর, বিশিষ্ট ব্যাংকার ওসমান গনি চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ প্রমুখ।  
এর পরেই ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য রাখেন “ঈদ পুনর্মিলনী এবং পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী, সদস্য সচিব মোহাম্মদ টি আলম, কোষাধ্যক্ষ  মোহাম্মদ শফিকুল আলম, সহকারী কোষাধ্যক্ষ নুরুল আমিন, প্রধান সমন্বয়কারী তানিম মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরুল কায়সার, সমন্বয়কারী মোহাম্মদ ইছা, অফিস সম্পাদক অজয় প্রসাদ, প্রচার সম্পাদক জাবের শফি, কলিম উল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব  মোহাম্মদ মহিম উদ্দিন, পল্লব রায়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পর্বের পরেই শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী নাজু আখন্দ। একের পর এক জনপ্রিয় গান পরিবেশনা করে সকলকে মাতিয়ে  তোলেন।  দর্শক এবং  শ্রোতারা গানের তালে তালে নাচে নাচে ভরিয়ে  তোলেন অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ। সমস্ত হল জুড়ে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।  উপস্থিত সকলে দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রাম ভবনে এরকম আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন এই জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে। গানের অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে পরিবেশন করা হয় বৈশাখী এবং ঈদ  মেন্যুতে সাজানো ঘরে তৈরি সুস্বাদু খাবার। খাবারের তালিকায় ছিল পান্তা ইলিশ, মুরগির  রোস্ট, খাসির  রেজালা, গরুর মাংস ভুনা, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, টমেটো ভর্তা, ডাল, সাদা ভাত। ঈদের আবহকে ধরে রাখতে পরিবেশন করা হয় সেমাই। 
ঊনবাঙাল : শুদ্ধ শিল্পের নিবিড় চর্চায় ব্রত ঊনবাঙাল গত ২০ এপ্রিল রোববার নিউইয়র্কের একটি রেস্টুরেন্টের অডিটোরিয়ামে জমজমাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে ১৪৩২ বাংলা বর্ষবরণ। বেশ ব্যতিক্রম ছিল এর উদ্বোধনী পর্বটি। লাইবেরিয়াতে জন্ম নেয়া লাল টুকটুকে শাড়ি পরা ৯ বছরের তাহিরা এবং বাংলাদেশ থেকে আগত সত্তরের দশকের কবি মুনির সিরাজ যৌথভাবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সঙ্গে ছিলেন লেখক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু, এই সময়ের বরেণ্য কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, ঊনবাঙালের সভাপতি মুক্তি জহির, বর্ষবরণ উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক মুন্না চৌধুরী, পরিবেশ কর্মী সৈয়দ ফজলুর রহমান, নারী উদ্যোক্তা সেলিনা উদ্দিন, কম্যুনিটি লিডার আহসান হাবিব, চিকিৎসক মুশফিক চৌধুরী, ঊনবাঙাল-সভা ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ও এক্টিভিস্ট রওশন হক, ঊনবাঙাল-সঙ্গীত বিভাগের প্রধান সৈয়দ মাসুদুল ইসলাম টুটুল প্রমুখ।
কবি মুনির সিরাজ বলেন, ঢাকায় অনেক বড়ো বড়ো অনুষ্ঠান হয় কিন্তু এই অনুষ্ঠানে যে আন্তরিকতা ও ভালোবাসার স্পর্শ পেলাম তা আর কোথাও পাইনি। 
কবি কাজী জহিরুল ইসলাম বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ব্যাখ্যা করে বলেন, বিভ্রান্ত হবার কোনো সুযোগ নেই যে আজ থেকে ৪৪১ বছর আগে, ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে, যখন হিজরি সাল ছিল ৯৯১, তখনই বঙ্গাব্দের প্রবর্তন করেন সম্রাট আকবর। ৯৯১ হিজরি সালকেই ৯৯১ বঙ্গাব্দ ধরে সৌর-পঞ্জিকাটি তৈরি করেন সম্রাট আকবরের অনুরোধে পারস্য জ্যোতির্বিদ আমীর ফতেহুল্লাজ সিরাজী। রাজা শশাঙ্কের আমলে এই পঞ্জিকা শুরু হয়েছিল বলে যে বিভ্রান্তি আছে সেটি নিছকই বিভ্রান্তি, ইতিহাসে এর কোনো সত্যতা নেই। 
আয়োজনে সকলের জন্য পান্তা-ইলিশ, নানান রকমের পিঠা, পায়েশ, ভর্তা, মিষ্টান্ন, চা, নাশতা ও পান সুপারির ব্যবস্থা ছিল। ঊনবাঙালের শিল্পীরা ৬টি দলীয় সঙ্গীত ও বেশ কিছু একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। দলীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠান শুরু হয়। এই পর্বে অংশ নেন মিতা হোসেন, মুক্তি জহির, নজরুল ইসলাম, মুন্না চৌধুরী, রেণু রোজা, সাঈদা রুনু, নাসির উদ্দিন, চমক ইসলাম, সৈয়দ মাসুদুল ইসলাম টুটুল প্রমূখ। তবলায় সঙ্গত করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের তবলা শিল্পী দেবু চৌধুরী। 
দলীয় সঙ্গীতের পরেই ছিল কবিতা আবৃত্তি। এতে অংশ নেন আহসান হাবিব, দিমা নেফারতিতি, সুমন শামসুদ্দিন, মুক্তি জহির, মুন্না চৌধুরী, জিএম ফারুক খান, ফরিদা ইয়াসমিন, মোহাম্মদ শানু, রাশিদা আক্তার।
স্বরচিত কবিতা পাঠ পর্বে অংশ নেন কাজী জহিরুল ইসলাম, শেলী জামান খান, দেওয়ান নাসের রাজা, রেণু রোজা, রওশন হক, সালেহা ইসলাম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
কিসসা বলেন গুলশান আরা চৌধুরী এবং কাওসার পারভীন চৌধুরী। পুঁথিপাঠ করেন সৈয়দ রাব্বী। একটি কথিকা পড়ে শোনান ওয়াহেদ হোসেন।
লুডু, কুতকুত এবং ধাপ্পা খেলারও ব্যবস্থা ছিল। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল অনুষ্ঠানস্থলের সাজ-সজ্জা। ঝাঁকি জাল, বাবুই পাখির বাসা, হুক্কা, হারিকেন, পলো, নানান রকমের মুখোশ ইত্যাদি দিয়ে সাজানো আঙিনাটি যেন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের কোনো এক নিভৃত গ্রাম। 
বৈশাখী ভোজের পরে মরিয়ম মারিয়ার গানে সমবেত দর্শক-শ্রোতা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে নাচতে শুরু করেন। দর্শকদের উদ্দাম নৃত্য এবং মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে মরিয়ম একে একে ৬টি গান পরিবেশন করেন। এরপর একক গান করেন সৌভিক, ড. রূমা চৌধুরী, মোহাম্মদ শানু, নজরুল ইসলাম, মিতা হোসেন এবং সৈয়দ মাসুদুল ইসলাম টুটুল। 
সুশৃঙ্খলভাবে খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব পালন করেন মানবাধিকার কর্মী কাজী ফৌজিয়া, মুন্না চৌধুরী এবং ড্রামের একদল সদস্য। 
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উচ্ছাস ও সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. ওয়াজেদ খান, ড. ইমরান আনসারী, সাংবাদিক শেখ সিরাজ, মমতাজ খান, কম্যুনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আল আমিন রাসেল, অধ্যাপক ইমাম চৌধুরী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রীটা রহমান, সাদিক খান সহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
সাউথ জ্যামাইকা বাংলাদেশি কমিউনিটি : সাউথ জ্যামাইকা বাংলাদেশি কমিউনিটির আয়োজনে  ঈদ পুনর্মিলনী ও বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠান গত ১৫ এপ্রিল কুইন্সের কুইন্স প্লেসে অনুষ্ঠিত হয়। জমজমাট এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের নতুন কমিটির অভিষেকও অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সভাপতি ইকবাল হোসেসের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী প্রমুখ। 
নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি :  নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি উত্তর আমেরিকা আয়োজিত বাংলা বর্ষবরণ ১৪৩২ ও পিঠা উৎসব পরিণত হয় মিলনমেলায়। গত ১৮ এপ্রিল রাতে নিউইয়র্ক শহরের নাগরিক জীবনের কোলাহল ভুলে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসীরা মেতেছিল ইলিশ-পান্তা-পিঠা ভোজন আর নাচ-গানের মনোজ্ঞ আয়োজনে। 
জ্যাকসন হাইটসের সানাই পার্টি হলে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা জামাল টিটু এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন টিটু ও লেখক ও সাংবাদিক দর্পণ কবীর।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা সভা। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি কাজী আজাহারুল হক মিলন, সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ মতিউর রহমান, সিনিয়র উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোহসীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি শামসুল আলম লিটন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদ উদ্দিন, সংগঠনের উপদেষ্টা মনজুরুল করিম, সংগঠনের উপদেষ্টা মহসিন ননী এবং সংগঠনের উপদেষ্টা নাসির উদ্দিন আহমেদ চঞ্চল। 
তারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসীদের নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ধরে রাখার আহবান জানান এবং নতুন প্রজন্মকে নিজেদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির চর্চা এবং বাংলা ভাষায় কথা বলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের বিশেষ ভূমিকা রাখার আহবান জানান তারা। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের বক্তব্যে এই বর্ণাঢ্য বাংলা বর্ষবরণ ও পিঠা উৎসব আয়োজন সফল করতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক মোশতাক আহমেদ (নিউটন), রাফাত হোসেন, এস.এম. সায়েম মিঠু, আশিক ইসলাম (কবির) ও দোলন খন্দকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 
নারীরা লাল পাড়ের শাদা শাড়ি এবং পুরুষরা একই রঙের পাঞ্জাবী পড়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় মিলনায়তনে বর্ণিল পরিবেশ তৈরি হয়। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তি ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বেশ কয়েকজন সুধী ও কমিউনিটি নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্যরা হলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম ও জ্যামাইকা অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও মূলধারার নেতা আহসান হাবিব। এই অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক শহর ছাড়াও নিউজার্সি, আপস্টেট ও লং আইল্যান্ড থেকে প্রবাসী নারায়ণগঞ্জবাসী এসে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মোহাম্মদ ওয়াসুদ্দিন, শাহ মাহবুব, নিপা জামান ও মির্জা ফরিদ উদ্দিন। 
সাজুফতা সাহিত্য ক্লাব : নিউইয়র্কের অন্যতম সাহিত্য সংগঠন সাজুফতা সাহিত্য ক্লাব নিউইয়র্ক বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করেছে বৈশাখী উৎসব। গত ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসের একটি পার্টি হলে  ক্লাবের সভাপতি কবি জুলি রহমানের পরিচালনায় ভিন্ন আমেজের এ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছিল ‘বৈশাখীর গান’, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, কবি জুলি রহমানের মঞ্চ নাটক ‘কাহিনী কাতান’-সহ মনোজ্ঞ সব পরিবেশনা।
দর্শকদের মতে, কবি জুলি রহমানের স্বরচিত কবিতা, নাটক, সংগীত ও নৃত্যনির্ভর পরিবেশনার সমন্বয়ে আয়োজনটি ছিল এক অনন্য সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা। এ আয়োজনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল জুলি রহমানের ছোট গল্প থেকে নাট্যরূপ ‘কাহিনী কাতান’। যা হলভর্তি দর্শকদের বিমোহিত করে। নাটকে নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন মনিকা মন্ডল ও প্রমোটার এমএ সাদেক। বিভিন্ন চরিত্রে ছিলেন নায়ক ইকবাল আহমদ বাবলা, নায়িকা শাকিলা রুনা, পার্শ্ব চরিত্রে আজরীন, লিমন, শাহিদা, সুমন, দোলার চরিত্রে জেরীন, দর্শক চরিত্রে মেহের চৌধুরী, নাসরীন চৌধুরী, কামরুন নাহার খানম, সুধাংশু মন্ডল এবং পুলিশের চরিত্রে কয়েকজন যুবক। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে বাবলা-শাকিলার অভিনয় নাটকটিকে ভিন্নমাত্রা দেয়। মনিকা মন্ডল ও প্রমোটার এমএ সাদেকের প্রাণবন্ত সংলাপও দর্শকদের দারুণভাবে আপ্লুত করে। নাট্যশৈলীর এই নিপুণতা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। নাট্যমোদী দর্শকদের মতে, মঞ্চের নাট্যকাহিনীটি যেনো বাস্তব জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। নাটকটি হয়ে ওঠে দর্শক নন্দিত।
নাটকের পর শুরু হয় শিল্পীদের গান। সঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন ননী মল্লিক, কবি-কন্যা সাদিয়া আফরিন তন্বী ও সাবিহা তারিন, কবিতায় এমএ সাদেক, বাচিক শিল্পী মো. ইলিয়াস হোসেন, মেহের চৌধুরী এবং কবি জুলি রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিলো বৈশাখের আবহ তৈরী করা বৈশাখী সংগীত। এরপরই বিউগলে শোনা যায় রানী কমলার আগমনী ধ্বনি। শ্যামদেশে কমলা রে। ভিন্ন রকমের আবহে কমলার চরিত্র চিত্রন করে মৃত্তিকা রেজা। এরপর দেশের গানে নৃত্য পরিবেশন করেন মিথুন দেব নৃত্য গোষ্ঠী। নৃত্যপরিবেশনাগুলো ছিল নান্দনিক।
অনুষ্ঠান হলে প্রথমে পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যান্থম। এরপর ধারাবাহিকতায় একটানা শুরু হয় সাজুফতার বৈশাখের গান, কবিতা, নাচ, নাটক ও আলোচনা। 
মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হয় সাজুফতার থিম সংগীত ও কবি ও বাচিক শিল্পীদের কবিতা দিয়ে। অনুষ্ঠানের সমগ্র সামগ্রীর নির্মাতা জুলি রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট রেজা আব্দুল্লাহ। শব্দ নিয়ন্ত্রণে সাদিয়া রহমান তন্বী ও বাবু। ইংরেজি গানে মিউজিক ও কণ্ঠে সাবিহা রহমান তারিন।
বিরাট অডিটেরিয়ামজুড়ে ছিল বিপুল দর্শকের উপস্থিতি। কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, মিডিয়া ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজনের অংশগ্রহণ উৎসবটিকে দেয় ভিন্ন মাত্রা। দর্শকরা দারুণভাবে উপভোগ করেন পুরো আয়োজনটি। 
পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আটলান্টিক সিটি : নিউজার্সি রাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে আয়োজিত সিটি কাউন্সিলের  সভায় পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষ্যে প্রস্তাব আনা হয়।
সভায় অংশগ্রহণকারী কাউন্সিল সদস্যরা এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়। সভায় আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মল, কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট অ‍্যারন রেনডলফ, ভাইস প্রেসিডেন্ট কলিম শাহবাজ, লা টয়া ডান্সটন, অ্যানিমেল ক্রাউচ, মারিয়া লাকা, জেসি কার্টজ, জর্জ টিবিট, স্টিফেনি মার্শাল, পেট্রিসিয়া বেইলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সিটি কাউন্সিলে পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় কমিউনিটিতে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকিরুল ইসলাম খোকা, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রফিক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সভাপতি শহীদ খান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ ও আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড সদস্য সুব্রত চৌধুরী আটলান্টিক সিটির মেয়রসহ সিটি কাউন্সিলের সদস্যদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সানফ্রানসিসকোতে ‘বৈশাখে রবীন্দ্র সঙ্গীতের আসর’ : যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ড. অণিমা রায়। তবে পারিবারিক ভ্রমণ হলেও এবারের যাত্রায় নিউইয়র্ক, ডালাসসহ বেশ কিছু রাজ্যে সংবর্ধিত হন তিনি। 
গত ১৯ এপ্রিল সানফ্রানসিসকো শহরে এক আড়ম্বড়পূর্ণ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ড. অণিমা রায়কে সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বায়োস্কপ ফিল্মস। সানফ্রানসিসকোর ফ্রিমন্ট এলাকার একটি অডিটরিয়ামে আয়োজিত মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে বিশেষ সংবর্ধনা দেন বায়োস্কপ ফিল্মসের কর্ণধার রাজ হামিদ ও নওশাবা রুবনা রশীদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শিল্পী নন্দিতা ইয়াসমিনসহ একাধিক শিল্পানুরাগী।
আয়োজনের নাম ছিল ‘বৈশাখে রবীন্দ্র সঙ্গীতের আসর’। অনুষ্ঠানের শুরুতে শায়লা জামান দিনা ও রাজশ্রীর গানের পর মূল পরিবেশনায় ১৫ টি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে শোনান কণ্ঠশিল্পী ড. অণিমা রায়। শিল্পী তার অনুষ্ঠান শেষ করেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানটির মাধ্যমে। মুগ্ধ দর্শকেরা তখন দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও কেঁদে ওঠেন স্বদেশকে মনে করে! 
আয়োজন প্রসঙ্গে শিল্পী অণিমা রায় বলেন, ‘আমার এবারের ভ্রমন একেবারেই ব্যক্তিগত। সন্তানকে নিয়ে পরিবারের সাথে অল্প কিছুদিনের জন্য সময় কাটানো। সেখানে এত এত মানুষের ভালোবাসা পাবো, তা সত্যিই আনন্দের। একজন শিল্পী এই ভালোবাসা কুড়াতেই গান করেন। সেখানে নিউইয়র্ক, ডালাস ও সানফ্রানসিসকোতে যে সম্মানটুকু পেলাম, তা সত্যিই অনেকদিন আরো ভালো কিছু গান করার শক্তি জোগাবে। বিশেষ স্বদেশ পর্যায়ের গানে খেয়াল করলাম দর্শকেরা চোখ মুছছেন। সত্যিই এ এক অভুতপূর্ব প্রাপ্তি আমার। কৃতজ্ঞতা ক্যালিফোর্নিয়ার দর্শকদের প্রতি। এত নিবিষ্ট শ্রোতা দর্শকের সামনে সত্যিই গাইতে ইচ্ছে করে।’ 
শিল্পী অণিমা রায়ের পরিবেশনায় ছিল আকাশ ভরা সূর্যতারা, এরা সুখের লাগি, গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ, কতবারো ভেবেছিনু, প্রাণ চায় চক্ষু না চায়-সহ একাধিক রবীন্দ্রসঙ্গীত ও তিন কবির গানের পরিবেশনা। 
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন যারীন তাসনিম পুলম। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন তবলায় প্রদোষ সরকার, কী-বোর্ডে সুজন বিন ওয়াদুদ, গিটারে রায়ান মঈনুদ্দিন।

কমেন্ট বক্স