সালেম সুলেরী
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলছে বাণিজ্য-যুদ্ধ। আকস্মিকভাবে গত ৯ এপ্রিল ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করে ভারত। বাংলাদেশকে ফাঁদে বা গ্যাঁড়াকলে ফেলতে চেয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশও বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। স্থলপথে তুলা এবং সর্বপথে ১০ পণ্য আমদামি নিষিদ্ধ করে। পাশাপাশি স্বনির্ভর হওয়ার জন্যে নিয়েছে জরুরী পদক্ষেপ। যদিও পারস্পরিক বাণিজ্যযুদ্ধে সাময়িক সঙ্কটে পড়েছে উভয়দেশের ব্যবসায়ীরাই।
হাসিনা সরকারের বিদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশও ভারতের প্রভাবমুক্ত। সেই সুযোগে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যক সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তান। সামরিক শক্তি প্রভাবিত পাক-সরকারের নানা প্রস্তাব। চীন-বাংলাদেশ-পকিস্তান সামরিক মৈত্রী গঠনের আলোচনা। তবে সর্বাধিক চাপ- জাতিসংঘ মিশনে সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি। সেখানে সর্বাধিক-সংখ্যক নারী-পুরুষ বাংলদেশের। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তাই সরকার-প্রধান ড. ইউনূস তদ্বির করলে তা কাজে দেবে। এ জন্যে পাকিস্তান-পক্ষ বাংলাদেশকে নেতা মানতে আগ্রহী। কিন্তু বাংলাদেশ সুযোগ বুঝে খেলেছে নতুন চাল। পাক-পররাষ্ট্র সচিবের কাছে দাবি করেছে একাত্তরের হিস্যা। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪.৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ, অন্যান্য পাওনা, ক্ষমা প্রার্থণাও।
টাইম ম্যগাজিনে সেরা ১০০-তে ড. ইউনূস, ভারত শুন্য
ভারতীয় মিডিয়ায় চলছে মোদী সরকারের ব্যাপক সমালোচনা। প্রসঙ্গ বিশ্বখ্যাত ‘টাইম’ ম্যাগাজিনে ‘ক্ষমতাশালী ১০০’-তে ভারত নেই। বলা হচ্ছে, ভারত পৃথিবীর ৫ম সামরিক শক্তিধর দেশ। ১৩৫ কোটি মানুষের জনবহুল বহুমাত্রিক দেশও। গতবারও ৩টি শিরোপা পেয়েছিলো ভারত। কিন্তু এবারে এমন হতাশাজনক চিত্র কেনো? শক্তিশালীদের তালিকায় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়েরমার্ক। যিনি ভারত বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের দলকে পরাজিত করেছেন। তালিকায় আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম। আছেন ট্রাম-উপদেষ্টা ও শীর্ষ ধনকূবের ইলন মাস্ক। তারপরেই বাংলাদেশের সরকার-প্রধান নোবেলজয়ী ড. ইউনূস। যাঁর সরকারের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে নেমেছে বিশাল ভারত। অথচ ‘টাইম ম্যাগাজিনে’র পাতায় অন্ধকার দেখছে ভারত! মিডিয়াগুলো আরো বলছে, ইউনূসের পক্ষে নিবন্ধ লিখেছেন কে? সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন। তিনি আবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী।
বাংলাদেশের বদলে নেপাল-ভুটানে সেভেন সিস্টার্স করিডোর ॥ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রত্যাহার
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো লক্ষ্যণীয়। কলকাতা, দিল্লী, মুম্বাই বিমানবন্দরের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ। এয়ার সার্ভিস সম্প্রসারিত হচ্ছে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ৩য় টার্মিনাল সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। ৭টি পরিত্যক্ত বিমান বন্দরকে অতিদ্রুত সচল করা হচ্ছে। বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, সমসেরনগর পেয়েছে সর্বাধিক গুরুত্ব। যাত্রীবহনের পাশাপাশি এয়ারকার্গো পরিচালনার বিষয়টিও থাকছে। ফলে দেশ থেকে বিদেশে মালামাল পরিবহনে ঘটছে বিপ্লব।
ট্রান্সশিপমেন্টে নেপাল ও ভুটানেও মালামাল যেতো, আসতো। স্থলপথের এই নিষেধাজ্ঞা পরে ভারত প্রত্যাহার করে। কারণ ২০২০-এর জুনে সুযোগটি বাংলাদেশকে দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ নেপাল-ভুটানও উপকৃত হচ্ছিলো। দেশ দুটি এ বিষয়ে ভারতের স্মরণাপন্ন হয়। তাতে সম্মতি পেলেও ভারত জুড়ে দেয় নতুন শর্ত। ‘সেভেন সিস্টার্স-’এ যাতায়াতে করিডোর চেয়ে বসে। সঙ্গে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ-প্রস্তাব।
বাংলাদেশে ‘সেভেন সিস্টার্স’-কেন্দ্রিক বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছে ভারত। আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত ‘সড়ক-রেল’ বাজেট প্রত্যাহার। সাড়ে ১২ কিলোমিটার সংযোগে ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সংযুক্ত হতো। মোংলা বন্দর, খুলনা থেকে ভারত সীমান্ত। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। সেটিও ভারত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। একযোগে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রত্যাহার। আলোচনা ছাড়াই প্রকল্প প্রত্যাহারে বাংলাদেশ অবাক। ভারত বলছে, বাংলাদেশে এখন নিরাপত্তাহীনতা। প্রকৌশলী, ঠিকাদার-মিস্ত্রি-মজুর কাজে অনাগ্রহী।
বাংলাদেশ অবশ্য ভারতকে প্রকল্প পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানায়নি। সংশ্লিষ্টদের মতে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার আশংকা থাকে। হাসিনা সরকারের আমলে নিজস্ব স্বার্থে এইসব প্রকল্প। সেগুলো বাস্তবায়িত হলে অনান্য দেশ আগ্রহ হারাতো। বাংলাদেশ এখন স্বাধীন স্বকীয়তায় যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকাশ ঘটাবে।
উল্লেখ্য, মোংলা বন্দরে উন্নয়ন পার্টনার ছিলো ভারত। সেটি পাল্টিয়ে এখন পার্টনার হয়েছে চীন। বন্দরটি ব্যবহারের জন্যে নেপালও বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছে। চলতি সপ্তাহে ঢাকাস্থ নেপালী রাষ্ট্রদূত বন্দরটি সফরও করেছেন। শ্রীলঙ্কাতেও যোগাযোগখাতে ভারত বিনিয়োগে আগ্রহী। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রকল্প-প্রস্তাবনা দেশটি বাতিল করেছে।
বাণিজ্যযুদ্ধে ৪০ হাজার কোটি ডলার লোকসান ভারতের
বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পে ৯৫% সূতার সরবরাহকারী ভারত। বাংলাদেশ এক আদেশে সড়ক/জাহাজপথে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। অন্যান্য পণ্য, যেমন- আলু, গুড়, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য। এছাড়া ফলের জুস, রেডিও-টিভির যন্ত্রাংশ। সাইকেল-মটর সাইকেলের যাবতীয় পার্টস এবং মার্বেলের স্লাব। নিষেধাজ্ঞার ফলে গোটা ভারতের বাণিজ্যখাত এখন দুঃশ্চিন্তায়। তাদের হিসেব মতে, ৪০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার লোকসান। ৫ আগস্ট ২০২৪ ভিসা বন্ধের কারণেও ক্ষতি ৪০ বিলিয়ন ডলার।
ভারতে শোকের ওপরে মহাশোক ॥ পেহেলগাঁও কাশ্মিরে জঙ্গি হামলায় ৩০ পর্যটক নিহত
‘ওয়াকফ বিল’ সংস্কার নিয়ে উত্তাল আন্দোলন ভারতে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, সমসেরগঞ্জে হিন্দু-মুসলিম খুন। কলকাতায় ‘শর্তভেঙে’ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিয়ে। সরকারি ‘এনডিএ’ জোটের শরিক নীতিশ কুমারের পদত্যাগ-পরিস্থিতি। বিহারের এই মূখ্যমন্ত্রীর কারণে জোটে ভাঙনের সম্ভাবনা। সুপ্রিম কোর্ট ‘ওয়াকফ বিল’ বিষয়ে চ্যালেঞ্জিং মামলা। এরইমধ্যে কাশ্মিরের পেহেলগাঁও ভ্রমণস্পটে জঙ্গি হামলা। প্রায় ৩০ জন নিরীহ পর্যটক ‘স্পটডেট’।
মর্মান্তিক বিষয়টি ভারতসহ বহির্বিশ্বে নাড়া দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে ‘আইআরএফ’ বা ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এটি ঘটিয়েছে। সরকারপক্ষ বলছে ‘ইসলামী জঙ্গী’দের ঘটনা এটি। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তর সমালোচনা। ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামার দুর্ঘটনাকে স্মরণ করছেন। আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ জন ‘সিআরপিএফ’ নিরাপত্তাকর্মী নিহত। ‘আদিল আহমদ দার’ আত্মঘাতী বোমায় নিহত হন। সেই হত্যাকান্ডের যথাযথ বিচার হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। গতবছর গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘কাশ্মির জঙ্গীমুক্ত’। সমালোচকরা বলছেন, তাহলে আবার এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ড কেনো? মোদী সরকার আসলে ভারতীয়দের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ!
সমালোচকদের ভাষ্য, ভোট বা বিপদ দেখলেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধে। আসলে এসব ঘটনার নিরপেক্ষ, নিñিদ্র তদন্ত প্রয়োজন।
দেশের স্বার্থে পিছুটানহীন প্রবীণ ইউনূস ॥ ভারতের পর পাকিস্তানকেও ফেলছেন গ্যাঁড়াকলে
মাত্র ৮ মাসের শাসনকালে রিজার্ভ প্রায় ২৮ বিলিয়ন। পতিত হাসিনা সরকারের দায় নিটিয়েছেন প্রায় ৭০০ মিলিয়ন। বিশ্ব বিনিয়োগের ঢল নামিয়েছেন গরিব বাংলাদেশে। সৌদি আরব ‘ওয়েল রিফাইনারী’র হাব গড়ছে বঙ্গোপসাগরে। আমেরিকা স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ও গ্যাসখাতে বিনিয়োগ করছে। চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী আসছেন ২০০ জন বিনিয়োগকারীসহ। স্বাস্থ্যখাতে সাহায্য করছে ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাতার প্রতিবছর প্রায় ৮০০ জন করে নিয়মিত সৈনিক নিচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে মেশা নাফ নদীতে মিলেছে গ্যাসের খনি। জাতিসংঘ মিশনে সর্বাধিক সৈন্য, বাড়ছে নারীর সংখ্যাও।
ভারতের সাথে বাণিজ্যযুদ্ধের মুখে উদার আমদানিতে সাফল্য। নিত্য পণ্যের ঘাটতি মেটাতে প্রায় ১০টি দেশ এগিয়ে এসেছে। ‘বিমসটেক’-এর চেয়ারম্যন পদ প্রাপ্তির পর নতুন আহ্বান। অধিকতর শক্তিশালী ‘আরসিইএফ’-এ যোগদানের আমন্ত্রণ। ‘আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অংশিদারিত্ব চুক্তি’তে সম্পৃক্ত হওয়া। চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, আস্ট্রেলিয়াসহ ১৫টি প্রভাবশালী দেশ। বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণকারী ফোরাম। এতে যোগ দিলে বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে
তাকাতে হবে না।
মুক্তিযুদ্ধাকালীন ক্ষতিপূরণ ॥ মুজিব যা পারেননি, ইউনূস তা পারবেন কি?
সম্প্রতি ৩৪ হাজার মেট্রিক টন চাল এসেছে ভারত থেকে। পাশাপাশি ২৬,২৫০ মেট্রিক টন এসেছে পাকিস্তান থেকে। ‘জিটুজি’ প্রক্রিয়ায় দুই দশক পর পাকিস্তানের চাল এলো। এছাড়া চিনি, পেঁয়াজ, গম, পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যও আসছে।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতিতে পাকিস্তান উৎফুল্ল। সম্পর্ক উন্নয়নে নানাবিধ প্রকল্প নিয়ে এগুচ্ছে। পররাষ্ট্র সচিবের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রীও ঢাকা সফরের মুখে। সেক্ষেত্রে ছেড়ে কথা বলছেন না ড. ইউনূস। ইতোপূর্বে পাক-প্রধানমন্ত্রীকে এক পার্শ্ববৈঠকে নোটিশ দিয়েছেন। বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধের ক্ষমা আপনারা চাননি। পারস্পরিক সম্পর্ক উত্তরণে অতীতের হিসাব মেলাতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের শাসনামলে পাকিস্তান স্বীকৃতি দিয়েছিলা। ১৯৭৪-এর ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের স্বীকৃতি ঘোষণা করে। পরদিন ‘ওআইসি সম্মেলন’ উপলক্ষে শেখ মুজিব পাকিস্তান যান। পাক-প্রধানমন্ত্রী ভুট্টো লাহোর বিমনেবন্দরে শেখ মুজিবকে বরণ করেন। পরে ২৭ জুন সদলবলে ভুট্টো বাংলাদেশে আসেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে ফুলের তোড়া ও বক্তব্য দেন। পাকিস্তানীদের যুদ্ধকালীন ভূমিকার নিন্দা করেন। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা প্রার্থণা করেননি। অধ্যাপক ইউনূস একাত্তরে শতভাগ প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। নিউইয়র্ক ও টেনেসি রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এবার তিনি পাকিস্তানের কাছ থেকে ‘ক্ষমা আদায়ে’ সচেষ্টা। সচেতন মহলের প্রশ্ন, মুজিব তখন তা পারেননি। ৫০ বছর পর ড. ইউনূস কি তা পারবেন?
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধাকালীন ৪.৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। ১৯৭০-এর নভেম্বরের টর্নেডোতে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্যের হিস্যা। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর স্থগিত বিচার পুনর্বিবেচনা।
পাকিস্তান পক্ষ এসব বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে জাতীয় সমৃদ্ধির প্রশ্নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করছে। সচেতন মহল অবশ্য নতুন সেতুবন্ধকে বিতর্কিত না করার পক্ষে। তাদের মতে, ‘ক্ষমা প্রার্থণাই’ হবে বাংলাদেশের জন্যে বড় প্রাপ্তি।