পারস্য উপসাগরীয় দেশ কাতার বাংলাদেশ থেকে সেনা সদস্য নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) কাতারের দোহায় আর্থনা সামিটের সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে এ কথা কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, গালফ যুদ্ধের সময় থেকেই কুয়েতে বাংলাদেশের সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। কাতার আমাদের জানিয়েছে, তারাও বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সেনা সদস্য নেবে।
স্থায়ীভাবে প্রতি তিন বছর পর পর একটা ব্যাচ আসবে। আমরা চাচ্ছি যেন এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬০০ বা আরো বেশি যাতে করা যায়। আমাদের সামরিক সচিব এবং এসএসএফ প্রধান আমাকে আজ সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, কাতারে একজন সেনা সদ্যসের প্রারম্ভিক বেতন আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মতো।
আমরা আশা করি, দুই মাসের মধ্যে পাঠাতে পারব। আমরা কাতারে আরো বেশি শ্রমিক পাঠাতে চাই। শফিকুল আলম বলেন, আজকে আরেকটা বড় মিটিং আছে কাতারের জ্বালানি মন্ত্রীর সঙ্গে। কাতার হচ্ছে পৃথিবীতে এলএনজির জন্য এক নম্বর দেশ।
কাতারের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি কিন্তু আমরা চাইছি আরো অনেক বেশি এলএনজি আমদানি করতে। কারণ প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগকারী আমাদের জানাচ্ছে যে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশে থাকা ৬০০ প্রতিষ্ঠানই নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস তো কমে যাচ্ছে। সরকার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক আরো সুন্দর করতে চাইছে, যাতে করে এলএনজি ভালো মূল্যে পাওয়া যায়, জানান শফিকুল আলম।
প্রেসসচিব বলেন, কাতারের কাছে পতিত স্বৈরাচার প্রচুর টাকা দেনা রেখে গেছে। কয়েক শ মিলিয়ন দেনা তারা দেয়নি। এতে দেখা গেছে, কাতারের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। আমাদের সরকার এসে পুরো টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এখন ৩৭ মিলিয়ন ডলারের মতো দেনা আছে আমার জানা মতে।
ঠিকানা/এএস