Thikana News
১৯ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪


 

‘ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় হচ্ছে’

‘ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় হচ্ছে’


ধর্মীয় উগ্রবাদীরা বাংলাদেশে আবার সক্রিয় হতে পারে। আগামী নির্বাচন ব্যাহত করা, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করাই তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে। ভারতের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এ সতর্কবার্তা জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাসমূহকে সতর্ক করেছে যে বাংলাদেশের কয়েকটি উগ্রপন্থী ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন হামলা, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে। সে ধরনের প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে বলেও জানানো হয়। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা, শহরাঞ্চলেও তারা নাশকতামূলক তৎপরতা চালাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ভারতে প্রবেশ রোধ করতে সীমান্তে কঠোর নজরদারি করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধঘোষিত ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতা দমনে সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তারা উল্লেখযোগ্য সাফল্যও অর্জন করেছে। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হলেও পুরোপুরি দমন করা যায়নি। ধর্মীয় সংগঠন ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। তারা নতুনভাবে সংগঠিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহের ব্যাপক তৎপরতায় তারা সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় হলেও নিশ্চিহ্ন করা যায়নি। দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে গহিন জঙ্গলে অবস্থান নিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করে থাকে তাদের কাছ থেকে। ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার তাগিদ থেকে ভারতীয় সংস্থাগুলো জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিত তথ্য আদান-প্রদান করে আসছে। সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে কিছুদিন যাবৎ বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল দিচ্ছে। যৌথ টহল এলাকা বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কিছু অংশে যোগাযোগ দ্রুত চলাচলের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো অপসারণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের কয়েকটি নিষিদ্ধঘোষিত ধর্মীয় উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে পার্বত্য এলাকার জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে। জামায়াতের সাবেক রোকন ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা ধর্মীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। আগামী নির্বাচনে তারা অভ্যন্তরীণভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জামায়াতের সঙ্গে এদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই বলে জামায়াত সূত্রে বলা হয়েছে। ভারতে পরিচালিত বোমা হামলার কয়েকটি ঘটনায় নেতৃত্বদানকারীদের সঙ্গে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার কথা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জামায়াত শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রধান সহযোগী হিসেবে নির্বাচন বর্জন করলে ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠনগুলো তাদের পক্ষে নাশকতা, অস্থিরতা সৃষ্টিকারী কার্যক্রম চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 

কমেন্ট বক্স