অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিলেট–৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।
গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারায় আওয়ামী লীগ সরকার। এর পর থেকে সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীদের একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও, এই প্রথম লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে একত্রে অংশ নিতে দেখা গেল তাদের।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর লন্ডনে একটি ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে আবদুর রহমান ও শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রকাশ্যে দেখা দেন। ২ ফেব্রুয়ারি দলের একটি কর্মীসমাবেশে হাজির হন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সর্বশেষ ৩০ মার্চ ঈদের জামাতে অংশ নিয়ে লন্ডনে উপস্থিতি জানান দেন হাছান মাহমুদ।

বিয়ের অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যায় আওয়ামী লীগ নেতাদের
তবে সাবেক এই নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাজ্য যুবলীগের এক নেতা বলেন, ‘দেশে হাজার হাজার নেতা–কর্মীকে ফেলে রেখে যারা পালিয়ে এসেছেন, তারা কিভাবে এমন অনুষ্ঠান করেন—তা ভাবতেও লজ্জা লাগে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো অনেক নেতা–কর্মী হয় কারাগারে, না হয় আত্মগোপনে। আর এদিকে মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীরা বিদেশে এসে আয়েশে জীবন কাটাচ্ছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ সূত্র: প্রথম আলো
ঠিকানা/এসআর