কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক নির্বাচনী সমাবেশে তার লিবারেল পার্টির নির্বাচনী রূপরেখা প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রতিরক্ষা খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কানাডার নির্ভরতা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
কার্নি বলেন, কানাডাকে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে এবং নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে, কারণ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত মার্চে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর কার্নি প্রধানমন্ত্রী হন এবং আগামী ২৮ এপ্রিলের জাতীয় নির্বাচনে পূর্ণ মেয়াদের জন্য লড়ছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পোলিয়েভরে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কানাডার ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন এবং এমনকি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে কার্নি বলেন, ‘আমেরিকা আমাদের ভাঙতে চায় যাতে তারা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু কানাডা কখনোই আমেরিকার অংশ হবে না।’
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির ২ শতাংশের বেশি ব্যয় করা হবে, যা ন্যাটোর মানদণ্ড। এ ছাড়া কানাডা নতুন সাবমেরিন, ড্রোন ও বরফভেদকারী জাহাজ কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে নিরাপত্তা জোটকে জোরদার করার কথাও জানান তিনি।
কার্নি আয়কর হ্রাস এবং একটি নতুন বাণিজ্য বহুমুখীকরণ তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, কানাডার বাজেট তিন বছরের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ করা হবে, তবে স্বাস্থ্যসেবা ও পেনশন খাতে কোনো কাটছাঁট করা হবে না।
অন্যদিকে, পিয়েরে পোলিয়েভরে-র নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টিও প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানোর পক্ষে, তবে তারা তা বাস্তবায়ন করতে বিদেশি সহায়তা খাতে ব্যয় কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
ঠিকানা/এএস