Thikana News
২৫ এপ্রিল ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

শিক্ষার্থীদের ফায়দা নিতে সব  নির্বাচনেই প্রার্থীর বয়স কমছে

শিক্ষার্থীদের ফায়দা নিতে সব  নির্বাচনেই প্রার্থীর বয়স কমছে সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়সসীমা ন্যূনতম ২৫ বছর। কেবল জাতীয় নির্বাচনেই নয়, স্থানীয় সরকার সংস্থাসমূহের নির্বাচনেও ন্যূনতম বয়সসীমা ২৫। অর্থাৎ ২৫ বয়সের কম বয়সী কেউ জাতীয় ও কোনো স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য 
বলে বিবেচিত নন। স্বাধীনতার পর থেকেই এ ব্যবস্থা আইনসম্মতভাবে চলে আসছে। এবার তাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দেশের ভোটার সাধারণ এবং তাদের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ছাড়াই এই পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। প্রার্থিতার বয়সসীমা বর্তমান ২৫ থেকে কমিয়ে ২৩ বছরে আনা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার সংস্থাসমূহেও প্রার্থিতার ন্যূনতম বয়সসীমা হবে ২৩। দেশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলর পদ রয়েছে। সবগুলো পদেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২৫ থেকে ২৩-এ নামিয়ে আনা হচ্ছে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার সংস্থাসমূহের বিদ্যমান আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ- স্থানীয় সরকারের এই প্রতিটি স্তর গঠিত হয়েছে পৃথক আইনে। প্রতিটি আইনেই উল্লিখিত সংশোধনী আনা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগকে আইনের এ-সংক্রান্ত খসড়া প্রণয়নের জন্য বলা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে অধ্যাদেশ জারির জন্য। অধ্যাদেশ আকারে জারি করে এ বিধান পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার কর্তৃক অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হবে।
বর্তমান সরকার সংশোধিত আইনের আওতায় জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সকল সংস্থার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে। একমাত্র জেলা পরিষদ ছাড়া সব স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন হয় ভোটারদের সরাসরি ভোটে। জেলা পরিষদের নির্বাচন হয় অপর স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটে। ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের প্রথম দিকে। মেয়াদপূর্তির ছয় মাস পূর্বে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষমতা রয়েছে সরকারের। সেই ক্ষমতাবলে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ডিসেম্বরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। আগামী বছরের প্রথম ভাগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সারা দেশে একযোগে করা হবে না। এই নির্বাচন হবে দুই থেকে তিন ভাগে। অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতেই কয়েক দফায় নির্বাচন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো তা চূড়ান্ত করা হয়নি। উপজেলার পরবর্তী ধাপে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন করা হবে।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হওয়া এবং তাদের নির্বাচিত হয়ে আসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সংগত কারণ ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন দুই বছর পিছিয়ে নেওয়ার পেছনে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের ফায়দা দিতেই সব নির্বাচনে প্রার্থীর বয়স কমানো হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তারা অংশ নেবে। যোগ্য, জনপ্রিয় প্রার্থীর সন্ধান করছে তারা। ইউনিয়ন, উপজেলার মানুষের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নতুন দলে নিজেদের সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী দেখা যাচ্ছে না। ইউনিয়ন পরিষদগুলোর বর্তমান চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি সাবেক চেয়ারম্যানদেরও দলে টানার চেষ্টা করছেন বৈষম্যবিরোধীরা। ক্ষমতাসীন বা ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের একটা আগ্রহ বরাবর লক্ষ করা গেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এবার লক্ষণীয় ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রিয়, প্রভাবশালী প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিদের নতুন দলের প্রতি কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

কমেন্ট বক্স