ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় গত শুক্রবার রাতে। এর ১৭ ঘণ্টা পর শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় প্রথম ইউনিট থেকে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বেলা তিনটায় দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। এতে বেড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের রাষ্ট্রীয় সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি (পিজিসিবি), বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও আদানি গ্রুপের তিনজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, ৮০০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট আছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রথম ইউনিট থেকে ৭৩৮ মেগাওয়াট ও দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৩৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।
আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল। ৮ এপ্রিল প্রথম ইউনিট বন্ধের পরও ৭৫০ মেগাওয়াটের বেশি সরবরাহ করা হয়েছে। ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টায় বন্ধ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইউনিট। শনিবার সারা দিন কোনো বিদ্যুৎ আসেনি। এতে লোডশেডিং করতে হয়। দুটি ইউনিট উৎপাদনে আসায় চাহিদা বুঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বিকেল থেকে দ্বিতীয় ইউনিট চালুর পর আদানির কেন্দ্র থেকে সরবরাহ বেড়েছে। সন্ধ্যায় এটি থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে।
এরআগে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট থেকে গত ৮ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ১১ এপ্রিল (শুক্রবার) দিনগত রাত ১টার দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়।
১৭ ঘণ্টা পর ১২ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে একটি ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি গোষ্ঠীর কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। এ কেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে ২০১৭ সালে ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়।
ঠিকানা/এএস