গত ছয় মৌসুমে যা হয়নি, এবার সেই অভিজ্ঞতাই হলো মোহামেদ সালাহর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডে পারলেন না গোল করতে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত থাকতেও পারলেন না মাঠে। মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার সময় বিরক্তি লুকাননি তিনি। সালাহর সেই হতাশার কারণ বুঝতে পারছেন বলে জানালেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। তবে লিভাপুল কোচ এটিও বললেন, এই ফরোয়ার্ডকে ওই সময় তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তও ঠিক ছিল।
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডে টানা সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডে অ্যালান শিয়েরার, ওয়েইন রুনি ও ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের সঙ্গী সালাহ। এবার তার সুযোগ ছিল রেকর্ডটি একার করে নেওয়ার। কিন্তু লিভারপুলের এই তারকা তা পারেননি।
চেলসির মাঠে রবিবার মৌসুম শুরুর ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে লিভারপুল। গোল না পাওয়া সালাহকে ৭৭ মিনিটে তুলে নেন ক্লপ।
কোচের সেই সিদ্ধান্ত যে ভালো লাগেনি, তা সালাহর শরীরী ভাষা দেখেই স্পষ্ট বোঝা গেছে। তবে তার এই আচরণে আপত্তির কিছু দেখছেন না ক্লপ। ম্যাচ শেষে কোচ বললেন, দলের প্রয়োজনের তাগিদেই এই ফরোয়ার্ডকে তুলে নেন তিনি।
“তার (সালাহ) সঙ্গে আমার এখনও কথা হয়নি এটা নিয়ে। এই ম্যাচে সে গোল করতে পারলে রেকর্ড হতো না কি হাবিজাবি, এসব আমি জানতাম না। তার হতাশা আমি বুঝতে পারছি। তবে আমি তো গোটা দলের ম্যানেজার। দলের কথা ভাবতে হয়। ওই মুহূর্তে তরতাজা একজনকে মাঠে প্রয়োজন ছিল আমাদের। এটাই যৌক্তিক ছিল তখন।”
“ম্যাচটি সবার জন্যই তীব্রতায় ভরপুর ছিল। এই মুহূর্তে এটুকুই বলতে পারি। তার যে আচরণ ছিল, তাতে কোনো সমস্যা নেই।”
ম্যাচের অষ্টাদশ মিনিটে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন লুইস দিয়াস। ৩৭তম মিনিটে চেলসিকে সমতায় ফেরান আক্সেল দিসাসি। এরপর ম্যাচে আক্রমণ অনেক হলেও গোল পায়নি কোনো দলই।
শেষ পর্যন্ত জিততে না পারলেও লিগের শুরুতে কঠিন প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে একটি পয়েন্ট নিয়ে ফেরায় মোটামুটি খুশিই লিভারপুল কোচ।
“এক পয়েন্ট পাওয়ায় আপত্তি নেই…। খেলার শুরুটা আমরা দারুণ করেছিলাম, এটা আমার ভালো লেগেছে। সবকিছুই প্রস্তুত ছিল, আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এরপর চেলসির জন্য আমরা দুয়ার খুলে দেই, দু-একটি পরিস্থিতিতে বলের দখল হারাই, যেটা অপ্রয়োজনীয় ছিল। পরে চেলসি ভালো খেলতে শুরু করে। আমাদেরকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত।”
“এই ম্যাচে অনেক কিছুই আমার পছন্দ হয়েছে, কিছু ব্যাপার আবার ভালো লাগেনি। তবে কঠিন একটি জায়গায় মৌসুমের প্রথম ম্যাচ, এটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।”
ঠিকানা/এসআর