কয়েকজন প্রতিযোগী পুলিশের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ করার পর ইন্দোনেশিয়ার আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন।
মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী পুলিশের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ করার পর দেশটির আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন (এমইউও)।
প্রতিযোগীদের অভিযোগ ছিল, গত ৩ অগাস্ট চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার দুইদিন আগে ‘দেহ তল্লাশির নামে’ তাদের শরীরের ওপরের অংশের পোশাক খুলে ফেলতে বলা হয়। এরপর ছবি তোলা হয়।
আয়োজকরা প্রতিযোগীদের বলেছিলেন, তাদের শরীরের কোথাও কোন ক্ষতচিহ্ন আছে কিনা, কোনও ট্যাটু আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। এ জন্য তাদের শরীর থেকে পোশাক খুলে ফেলতে বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এমইউও বলেছে, এটি পরিস্কার যে, ইন্দোনেশিয়ার মিস ইউনিভার্স আয়োজকরা এই অরগানাইজেশনের ব্র্যান্ডের মানদণ্ড, নৈতিকতা বজায় রাখতে পারেনি এবং প্রত্যাশামত কাজ করতে পারেনি।
এমইউও এও বলেছে যে, তারা এবছর মালয়েশিয়ায় মিস ইউনিভার্স আয়োজন বাতিল করছে। মালয়েশিয়ার এ আয়োজনও করছে একই কোম্পানি।
মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ার যে প্রতিযোগীরা যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছেন তাদের সাহসিকতার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মিস ইউনিভার্স অরগানাইজেশন (এমইউও)।
এধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য এমইউও তাদের নীতিমালা এবং প্রতিযোগিতা প্র্রক্রিয়া মূল্যায়ন করে দেখছে। তারা বলেছে, বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য দেহের মাপ কিংবা শারিরীক অনুপাত পরিমাপের প্রয়োজন নেই।
ইন্দোনেশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে আসছে। কিন্তু আয়োজকরা মুসলিম প্রধান দেশটির রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় যাতে আঘাত না লাগে সব সময় সেই চেষ্টা করেন। যে কারণে, ২০১৩ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বিকিনি রাউন্ড বাতিল করা হয়।
ঠিকানা/এসআর