Thikana News
২৪ এপ্রিল ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

এবার ফিতরা সর্বনিম্ন ১৫ ডলার সর্বোচ্চ ৪০ ডলার

এবার ফিতরা সর্বনিম্ন ১৫ ডলার সর্বোচ্চ ৪০ ডলার সংগৃহীত
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী ৩০ মার্চ রোববার। ধারণা করা হচ্ছে, এবার রোজা হতে পারে ২৯টি। সেই হিসাবে আগামী ৩০ মার্চ পবিত্র ঈদ হবে। রোজা ৩০টি হলে ঈদ হবে ৩১ মার্চ সোমবার। নিউইয়র্কে এবার ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ১৫ ডলার ও সর্বোচ্চ ৪০ ডলার। ঈদের দিন সকালে ঈদ নামাজের আগেই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে।
এ বিষয়ে মাওলানা কাজী কাইয়্যূম বলেন, এবার মনে হচ্ছে ঈদ হবে ৩০ মার্চ। রোজা ২৯টি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেই হিসাবে ৩০ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্্যাপিত হবে। তিনি বলেন, এ বছর আমরা ফিতরা নির্ধারণ করেছি কমপক্ষে জনপ্রতি ২০ ডলার। যারা বেশি দিতে চান, তারা চাইলে দিতে পারেন। ২০ ডলার নির্ধারণ করার কারণ হলো একজন মানুষ যাতে এই অর্থে অন্তত এক বেলা খেতে পারেন। এক বেলার খাবার ২০ ডলারের নিচে হয় না।
তারা ইতিমধ্যে ফিতরা সংগ্রহ শুরু করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ভলান্টিয়াররা ফিতরার অর্থ সংগ্রহ করেন। এখনো পেয়েছেন কি না তা বলতে পারছি না। আমরা সাধারণত চেষ্টা করি, ফিতরার অর্থ পেলে নিম্ন আয়ের কিংবা দরিদ্র মানুষেরা যদি আবেদন করেন, তাহলে তাদেরকে দেওয়ার। কিন্তু এখানে ফিতরা নেওয়ার মতো কোনো লোক না থাকলে বা কোনো আবেদন না পেলে ফিতরার যে অর্থ ওঠানো হয়, সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভলান্টিয়ারদের নিজ নিজ এলাকায়। সেখানকার দরিদ্র মানুষের মধ্যে এগুলো বিতরণ করা হয়।
এদিকে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন মান্নান বলেন, এবারের ঈদ কবে হবে এটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটি নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আমরা ঈদ করব। কেউ কেউ ৩০ মার্চ বলছেন, তবে আমরা চাঁদ দেখার ওপরই জোর দিচ্ছি। ২৯ রোজা হলে ঈদ হবে ৩০ মার্চ, ৩০ রোজা হলে ৩১ মার্চ। আমরা ঈদ নামাজের ব্যবস্থা করার জন্য মাঠ চেয়ে আবেদন করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঈদের নামাজ হবে মাঠে। আবহাওয়া ভালো না হলে বা শীত বেশি হলে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে মসজিদের ভেতরে। সে ক্ষেত্রে ঈদের একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আগেভাগেই সব প্রস্তুতি রেখেছি। ফলে যেদিনই ঈদ হবে, সেদিনই আমরা সবকিছু সুন্দরভাবে ব্যবস্থা করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, এবার আমরা ফিতরা নির্ধারণ করেছি সর্বনিম্ন ১৫ ডলার। কেউ চাইলে আরও বেশি দিতে পারেন। কেউ যদি মনে করেন তারা ফিতরার অর্থ জেএমসিতে দেবেন, তাহলে দিতে পারেন। আমরা যাদের অর্থ প্রয়োজন তাদেরকে এই অর্থ দিয়ে সহায়তা করব। জাকাত ফিতরা বক্সেও দিতে পারবেন। তবে কেউ কেউ সর্বনিম্ন ৮ ডলার ৫০ সেন্টও ধরেছেন।
এদিকে আল আমীন মসজিদে ফিতরা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ১৫ ডলার।
আন নূর কালচারাল সেন্টার, আন নূর মসজিদ, আন নূর ইনস্টিউিট এবং আন নূর মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারের পক্ষ থেকে এবার ফিতরা সর্বনিম্ন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডলার। তারা সর্বনিম্ন ১০ ডলার ধরলেও বলা হয়েছে, কেউ চাইলে জনপ্রতি ১৫ ডলার, ৩৮ ডলার বা ৪০ ডলার করে পরিশোধ করতে পারবেন।

কমেন্ট বক্স