তৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়েছে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট। ফলে নতুন করে সংকটে পড়ল মার্কিন মহাকাশযান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি।
এটি স্পেসএক্সের কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) বহনকারী স্টারশিপের অষ্টম উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টা।
স্থানীয় সময় ৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) স্টারশিপে পরীক্ষামূলকভাবে উড্ডয়নের সময় মেক্সিকো উপসাগরে স্যাটেলাইটটির বিস্ফোরণ ঘটে। খবর এএফপির।
একটি লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, বুস্টার থেকে আলাদা হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে স্টারশিপ রকেটের উপরের স্তরটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঘুরতে থাকে। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিস্ফোরিত হয়ে হারিয়ে যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বাহামা দ্বীপপুঞ্জে আকাশ থেকে আগুনের জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ বৃষ্টির মতো পড়ছে।
স্পেসএক্সের কমিউনিকেশন ম্যানেজার ড্যান হুট বলেন, ‘আমরা নভোযানের সঙ্গে সব যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত এই ঘটনা আগেও ঘটেছিল। জানুয়ারিতে স্টারশিপের উপরের স্তরটি বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংসাবশেষ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে পতিত হয়েছিল।’
এই ঘটনার মার্কিন আকাশসীমায়ও প্রভাব পড়েছে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণে রকেটের ধ্বংসাবশেষ এড়াতে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোকে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্বিত হতে হয়েছে। নিউইয়র্ক ও ফিলাডেলফিয়া থেকে মায়ামি পর্যন্ত বিভিন্ন বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্বিত হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, এই ঘটনার ফলে স্পেসএক্সকে পরবর্তী উৎক্ষেপণের আগে একটি তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে স্পেসএক্স এক বিবৃতিতে জানায়, স্টারশিপের পেছনের অংশে একটি বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে কয়েকটি র্যার্প্টর ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। ফলে যোগাযোগের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে তারা দাবি করেছে, ধ্বংসাবশেষে কোনো ক্ষতিকারক উপাদান ছিল না।
স্পেসএক্স আরও জানায়, এফএএ এর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্পন্ন করবে। একইসঙ্গে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেবে। তাছাড়া ‘ফেল ফাস্ট, লার্ন ফাস্ট’ পদ্ধতি অনুসরণ করবে বলেও জানায় স্পেসএক্স, যা প্রতিষ্ঠানটিকে আগের ব্যর্থতার পর দ্রুত শিখে প্রযুক্তির উন্নতি করতে সাহায্য করছে। যদিও এই দুর্ঘটনা তাদের জন্য একটি বড় বাধা, কিন্তু ভবিষ্যতে তারা আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে, এমনটিই আশা করছে স্পেসএক্স।
ঠিকানা/এএস