নিউইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে ফ্রি পার্কিং পাওয়া আর সোনার হরিণ পাওয়া সমান ব্যাপার। দিন দিন ফ্রি পাকিংয়ের সুবিধা কমছে এই এলাকায়। তারপরও ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে সিটি বাইক। জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন সড়কে যেখানে ফ্রি পার্কিং সুবিধা ছিল সেগুলো সিটি বাইকের স্ট্যান্ড করা হয়েছে। ফলে পার্কিং এখন পাওয়া ‘ভাগ্যের ব্যাপার’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, যারা জনপ্রতিনিধি, নির্বাচনের আগে তাদের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল জ্যাকসন হাইটস এলাকায় সিটির একটি পার্কিং লট হবে। এক নির্বাচন থেকে আরেক নির্বাচনের সময় সমাগত। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। ফলে ব্যস্ততম বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জ্যাকসন হাইটসে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্যাকসন হাইটস এলাকার একজন গ্রোসারি মালিক এ প্রতিবেদককে বলেন, সকাল ১০টায় তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন। কিন্তু একটা পার্কিংয়ের জন্য এই এলাকায় আসেন সকাল ৯টায়। তারপরও এলাকায় পার্কিং মেলে না। মিটার পার্কিংয়ে এক থেকে দুই ঘণ্টার বেশি পার্ক করা যায় না। ফলে ভুলে গেলেই পেতে হয় টিকেট। তিনি বলেন, জ্যাকসন হাইটস এলাকায় পার্কিং পাওয়া দুরূহ ব্যাপার। এই কষ্টের মাঝে সিটি এই এলাকার বেশ কয়েটি সড়কে সিটি বাইক স্ট্যান্ড করেছে। ফলে ফ্রি পার্কিংয়ের জায়গা সঙ্কুচিত হয়ে গেছে।
ওই ব্যবসায়ী জানান, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি নেতৃত্বের কোন্দলে তিন ভাগ হয়েছে। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি ছিল জ্যাকসন হাইটসে পার্কিং লট করার ব্যাপারে সিটির সঙ্গে বসবেন। কিন্তু এখন পার্কিং লট করা দূরে থাক, ফ্রি পার্কিংয়ের জায়গা দখল করছে সিটি বাইক। এমন চলতে থাকলে এখানে ব্যবসা করাই কঠিন হয়ে পড়বে।
ওই ব্যবসায়ী জানান, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানেকটিকাট ও ম্যাসাচুসেটস থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সপ্তাহ ও মাসের বাজার করতে জ্যাকসন হাইটসে আসেন। এ কারণে এই এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে দিন দিন। কিন্তু এলাকায় গাড়ি পার্কিং সুবিধা কমতে শুরু করায় এখন অনেকেই বাজার সদায় করতে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জ্যাকসন হাইটসের ব্যস্ততম ৩৭ অ্যাভিনিউর কর্ণার সংলগ্ন ৭০ স্ট্রিট এবং ৭৪ স্ট্রিটে (হ্যাব ব্যাংক সংলগ্ন) সিটি বাইকের স্ট্যান্ড করা হয়েছে। ফলে সেখানে সঙ্কুচিত হয়েছে পার্কিং সুবিধা।