পিপিএলের সিডিপ্যাপের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতার সংখ্যা প্রাথমিকভাবে হতে হবে ৬০ হাজার। এই ৬০ হাজার গ্রাহক না হলে তাদের বড়
ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। অনেকেই মনে করেছিলেন, সিডিপ্যাপের সেবাগ্রহীতার সংখ্যা পিপিএল ৬০ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু সেই আশঙ্কা বা ধারণা মিথ্যা হতে চলেছে। আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে সিডিপ্যাপের ৬০ হাজার গ্রাহক পেয়ে যেতে পারে পিপিএল।
পিপিএলের একটি এফআইয়ের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলেন, পিপিএলের সেবাগ্রহীতা হতে ইচ্ছুক ও সিডিপ্যাপ থেকে তাদের সেবা নিতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিকে বর্তমান হোম কেয়ার পরিবর্তন করে পিপিএলের কাছে যেতে হবে। যারা পিপিএলের কাছে কেস স্থানান্তর করবেন, তারা সেবা ধরে রাখতে পারবেন। বর্তমান সেবার মতোই সেবা পাবেন, কোনো পরিবর্তন হবে না। যারা সিডিপ্যাপের সেবা রাখতে চান কিন্তু কেস পিপিএলের কাছে স্থানান্তর করবেন না, তারা ১ এপ্রিলের পর সেবা পাবেন না।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা জানি, পিপিএলের কাছে সিডিপ্যাপের ৫০ হাজার কেস স্থানান্তরের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত হয়তো আরো অনেক সেবাগ্রহীতা রেজিস্ট্রেশন করবেন। কারণ অনেক হোম কেয়ার তাদের সেবাগ্রহীতাদেরকে কেস স্থানান্তরের অনুমতি দিচ্ছে না। বরং তারাই সেবা দিতে পারবে বলে অপেক্ষা করাচ্ছে। কেউ যদি মনে করেন, এই খাতে কেউ ভিন্ন রকমভাবে কিছু করবেন, সেটা কিন্তু করা সম্ভব হবে না। হিসাবটা একেবারেই সহজ। তা হলো গভর্নর অফিস ও নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের নির্দেশনা অনুযায়ী সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতাদেরকে ৩১ মার্চের মধ্যে পিপিএলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যারা মনে করছেন, এখন তারা রেজিস্ট্রেশন করবেন না, অনেক সময় আছে, ১৫ মার্চের পরে করবেন, তারা সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ ওই সময়ে এত বেশি চাপ থাকবে, কেউ যদি সাইটে প্রবেশ করতে না পারেন, তাহলে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। এ কারণে শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে আগেভাগেই কেস স্থানান্তরের জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করা জরুরি। পিপিএলের পক্ষ থেকে ও নিউইয়র্ক স্টেটের হেলথ বিভাগ থেকে এখন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। এখনো এক মাসের বেশি সময় বাকি আছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, কেউ যদি পিপিএলের কাছে কেস স্থানান্তরের জন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশন না করেন, তাহলে তিনি ১ এপ্রিল থেকে সিডিপ্যাপে সেবা পাবেন না। সিডিপ্যাপের সেবা ১ এপ্রিল চালু হবে। এর আগ পর্যন্ত বর্তমান হোম কেয়ার এজেন্সির সাথেই থাকবে, সেখান থেকেই সেবা পাবেন। ৩১ মার্চের পর সিডিপ্যাপের বর্তমান হোম কেয়ারের সেবাগুলো আর কাজ করবে না। এ কারণেই রেজিস্ট্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আরও বলেন, বর্তমানে তিন লাখের বেশি সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা রয়েছেন নিউইয়র্কে। এর মধ্যে বেশির ভাগই এখনো পিপিএলের কাছে কেস স্থানান্তর করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেননি বা করছেন না। কারণ অনেক এজেন্সিই তাদেরকে বলছে, আপাতত কেস স্থানান্তর না করে অপেক্ষা করার জন্য। তারা শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে পরে করিয়ে দেবে। কিন্তু এখন সহজেই রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে, রাশ নেই। শেষ সময়ে অনেক রাশ হবে। শেষ সময়ে রাশ আওয়ারটাকে এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তিনি বলেন, কিছু মানুষ আছেন, যারা লেক্সাতে যাওয়ার জন্য ট্রেনিং নিয়েছেন। এর ফলে তারা সিডিপ্যাপে না থেকে লেক্সাতে যেতে চাইছেন। এটা যারা করছেন, তাদেরকে মনে রাখতে হবে, আপনি যে সার্টিফিকেট নিয়েই সেবাদাতার কাজ করতে চান, আপনি বাইরের কাউকে সেবা দিতে পারবেন। লেক্সার অধীনে কেউ কারো বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়িকে সেবা দিতে পারবেন না। অনাত্মীয়কে সেবা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে হোম কেয়ার থেকে যারা ইনকাম করবেন, সেটি একটি চাকরির মতো হবে। এ জন্য তাকে কর দিতে হবে। ইনকাম বেড়ে গেলে তখন তিনি তার মেডিকেইডও হারাতে পারেন। কারণ মেডিকেইড ফ্রড হচ্ছে বড় ধরনের অপরাধ। অর্থ ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি জেলও হতে পারে।
তিনি বলেন, যারা সিডিপ্যাপের অধীনে সেবা নিচ্ছেন, তারা অবশ্যই পিপিএলের অধীনেই সেবা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিন ও ১ এপ্রিল থেকে আপনার সেবা পিপিএলের অধীনে এখনকার মতো বহাল রাখার সুযোগ নিতে পারেন। সময় চলে যাচ্ছে। অন্যের কথায় কান দেবেন না।