১৪০ রানে ৪ উইকেট খুইয়েছিল আফগানিস্তান। ৩২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ড ৪ উইকেট হারায় ১৩৩ রানে। কাছাকাছি একই পরিস্থিতিতে আফগানদের টেনে তুলতে রেকর্ড ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেন ইব্রাহিম জাদরান। আর দলকে জয়ের কক্ষপথে ধরে রাখতে সেঞ্চুরি করেন জো রুট। লাহোরে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে আফগানিস্তানই। ৮ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানরা। অন্যদিকে এই হারে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ইংলিশদের।
দলীয় ১৯ রানে ফিল সল্ট (১২) ও ৩০ রানে জেমি স্মিথ (৯) ফিরে গিয়েছিলেন। এরপর দলীয় সেঞ্চুরির আগেই ফিরে যান ডাকেট (৩৮)। তখন আফগানদের উচ্ছ্বাস দেখে কে! তখন উইকেটে ছিলেন জো রুট। অনেক বিপর্যয়েই ইংল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে ওঠা রুট ইংল্যান্ডকে টানলেন এদিনও। ১১টি চার ও ১টি ছয়ে ১১১ বলে করলেন ১২০ রান। ওমরজাইয়ের শিকার হওয়ার আগে জয়ের পথে এগিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডকে। তবে বাকি কাজটা আর সেরে আসতে পারেননি জেমি ওভারটন (৩২) ও জফরা আর্চার (১৪)। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৩ রান। ইংল্যান্ড তুলতে পারে মাত্র ৪ রান। বল হাতে সবচেয়ে সফল ওমরজাই; ৫৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
এর আগে লাহোরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রান করে আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের এই ইনিংসকে ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটিং প্রদর্শনী বললেও ভুল হবে না। দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন আফগান ওপেনার। ফিফটি, সেঞ্চুরি, দেড় শ...পেরিয়েও ১৭৭ রানে থেমেছেন তিনি। লিভিংস্টোনের বলে আর্চারের তালুবন্দী হওয়ার আগে ১২টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এটাই কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আগের রেকর্ড ইনিংসটি ছিল বেন ডাকেটের ১৬৫, এই তো দিন কয়েক আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেছিলেন ডাকেট। তার সেই ইনিংসের পরও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। এদিন অবশ্য হতাশ হতে হয়নি ইব্রাহিম জাদরানকে।
আগেই বলা হয়েছে আফগানদের এই স্কোরে বড় অবদান ইব্রাহিমের। আর কী পরিস্থিতিতেই না তিনি এই ইনিংসটি খেলেছেন। ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানরা। একপর্যায়ে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এই ব্যাটিং বিপর্যয়ে অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শহিদির সঙ্গে ১২৪ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। ৩০তম ওভারের তৃতীয় বলে শহিদিকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। শহিদির বিদায়ের পর আজমাতউল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে দলকে টানেন ইব্রাহিম। এই জুটিতে আসে ৭২ রান। ১০৬ রানে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ইব্রাহিম ষষ্ঠ উইকেটে নবীকে নিয়ে আরেকটি সেঞ্চুরি জুটি উপহার দেন। তাতেই ৩০০ ছাড়িয়ে যায় আফগানদের রান। পেসার জফরা আর্চার নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
ঠিকানা/এনআই