Thikana News
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান বাতিল প্রসঙ্গে মুখ খুললেন জয়শঙ্কর

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান বাতিল প্রসঙ্গে মুখ খুললেন জয়শঙ্কর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের জন্য নির্ধারিত বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন বাজেট কমিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের তহবিল বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সরকারের দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই)।

ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে ভারতের জন্য বরাদ্দ ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানও আটকে যায়। ভারতের ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ‘উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে’ একটি প্রজেক্টে এ অনুদান দেওয়ার কথা ছিল।

বরাদ্দকৃত এ অর্থ আটকে দেওয়ার পাশাপাশি ভারত নিয়ে অনেকটা তাচ্ছিল্যপূর্ণ মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গণে শুরু হয় নানা বিতর্ক। সেই বিতর্কের মধ্যেই এবার মুখ খুললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য প্রসঙ্গ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

ইউএসএআইডির অনুদানের বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অনুদান সংস্থাকে সরল বিশ্বাসে কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন তা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্য উদ্বেগজনক।

তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন এবং অবশ্যই তা উদ্বেগের। আমার মনে হয়, একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির জন্য কিছু মানুষ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। একটি দেশের ক্ষমতাসীন সরকার হিসেবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসবেই।

তিনি আরও বলেন, ইউএসএআইডি নিয়ে আমরা কাজ করি কিনা, তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ইউএসএআইডিকে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই সংস্থা এখানে কাজ করছে। কিন্তু ওদের কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল সরল বিশ্বাসে, ভালো কাজের জন্য। এখন কথা উঠছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।

এর আগে ভারতে অনুদান বন্ধের বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ভারতকে কেন আমরা ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি? তারা এরইমধ্যে অনেক বেশি অর্থ পেয়েছে। তারা আমাদের দৃষ্টিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ করদাতা দেশগুলোর একটি। অথচ আমাদের পক্ষে ভারতের বাজারে প্রবেশ করা বেশ কঠিন। কারণ, তাদের শুল্ক হার অত্যন্ত বেশি।

ট্রাম্প বলেন, আমি ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার? এর প্রয়োজনীয়তা কী?

ট্রাম্পের এ মন্তব্যের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ হচ্ছে, যা উদ্বেগের।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স