যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঙ্গরাজ্য হাওয়াইয়ের মাউয়ি দ্বীপে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ৩৬ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বহুসংখ্যক। ৯ আগস্ট বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মাউই প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ।
হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের অন্যান্য দ্বীপের মতো এই দ্বীপটিও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। তাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু মূলত মাউইয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাহাইনা। দ্বীপটির অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট এই শহরটিতে অবস্থিত। হাওয়াইয়ের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাহাইনা।
ড্রোন দিয়ে তোলা একাধিক ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বিশাল বিস্তৃত দাবানলে লাহাইনার একের পর এক সড়ক থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। অনেক পর্যটক স্থানীয় বাসিন্দা আগুনের আঁচ থেকে বাঁচতে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন—এমন দৃশ্যও ধরা পড়েছে ভিডিওগুলোতে।
মাউই ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হনোলুলু স্টার জানিয়েছে, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে লাহাইনা শহরের অন্তত ২৭১টি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব ভবনের মধ্যে অনেক বহুতল হোটেলও ছিল।
লাহাইনার স্থানীয় বাসিন্দা ম্যাসন জারভি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি আমার জীবনে এত বড় বিপর্যয় দেখিনি। পুরো লাহাইনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে যেন একটা যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে আছি…টাইম বোমা দিয়ে পুরো শহর উড়িয়ে দিয়েছে কেউ।’
নিজের মোবাইল ফোনে তোলা অগ্নিকাণ্ডের বিভিন্ন ছবি রয়টার্সকে দেখিয়েছেন তিনি। আগুন থেকে নিজের পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে গিয়ে তার শরীরের একাধিক জায়গায় ফোসকা পড়েছে—সেসবও দেখান ম্যাসন।
মাউই দ্বীপের বিভিন্ন হাসপাতাল আহত ও দগ্ধ রোগীতে ভরে উঠেছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাহাইনা দ্বীপে এখন দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্ধারকারী কর্মী ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ঠিকানা/এনআই