Thikana News
২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঘুমের বারোটা বাজছে যে বদভ্যাসে 

ঘুমের বারোটা বাজছে যে বদভ্যাসে  সংগৃহীত
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা অন্যান্য কারণে ঘুমাতে দেরি হয়। তবে নিজের একটা অভ্যাসের কারণে ঘুমের ওপর বাজে প্রভাব পড়ছে।
আর সেটা হল রাতে শুয়ে মোবাইল ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করা।
সুইডেনের আসবাবপত্র তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘ইকিয়া’র বিশ্বব্যাপি জরিপের ফলাফলে এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি ৫৫ হাজারের বেশি মানুষের ওপর এই পর্যবেক্ষণ চালায়।
ঘুমের মান, কতক্ষণ ঘুমাচ্ছে, ঘুমিয়ে পড়তে কতক্ষণ লাগে, রাতে কতবার জেগে ওঠা হয়- এই ধরনের ‘স্লিপ স্কোর সিস্টেম’য়ের প্রভাবকগুলোর মাধ্যমে জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা সবচেয়ে কম ‘স্কোর’ পেয়েছে।
আর তাদের বাজে ঘুম হওয়ার অন্যতম কারণ হল, ঘুমের সময় মোবাইল ফোন ঘাঁটা।
শুধু তাই নয়, মেইনল্যান্ড চায়না এবং ইন্দোনেশিয়া’র মানুষদের মাঝেও ঘুমের সময় ফোন ব্যবহারের উচ্চমাত্রা জরিপে উঠেছে। যা তাদের ঘুমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

যেভাবে ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে মোবাইল ফোন
বৈদ্যুতিক পর্দা থেকে নিঃসৃত নীল আলো ঘুমের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে।
তবে এই পর্যবেক্ষণের জড়িত যুক্তরাজ্যের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. সোফি বোস্টক বলেন, মোবাইলে ফোনের আলোর প্রধান বিষয় নয়।
তিনি বলেন, আলোর কারণে ঘুম আসতে দেরি হচ্ছে বিষয়টা সেরকম নয়। আসলে আমরা যখন ক্লান্ত থাকি তখন নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যে কারণে রাতে ফোন ব্যবহার হয়ে যায় নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে।

দেখা গেছে, ফোন ব্যবহারের কারণে ঘুমের আগে অতিরিক্ত ৪০ মিনিট জেগে থাকা হচ্ছে।
তাই এই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন, যদি ঘুমের মান উন্নত করতে চান তবে রাতে হাত থেকে দূরে রাখুন মোবাইল ফোন। পারলে অন্য ঘরে রেখে আসুন।

ঘুমের ওপর অন্যান্য বাজে প্রভাব
অস্বস্তিকর বালিশ, বিছানা বা সঙ্গীর নাক ডাকা নয়, ‘স্ক্রিনটাইম’য়ের পরে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মানসিক চাপ।
বোস্টক বলেন, বাজের ঘুমের কারণ হতে পারে মানসিক চাপ, ফলে সেটা জীবনের ওপরেও প্রভাব ফেলে।
জরিপে অংশ নেওয়া ১৭ শতাংশ মানুষ এই তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া দুশ্চিন্তায় ভোগা ১২ শতাংশ, অতিরিক্ত চিন্তা করা ১১ শতাংশ এবং ৮ শতাংশের ঘুম-বিষয়ক সমস্যা রয়েছে বলে জানা গেছে।
বোস্টক বলেন, জীবনের সাথে কাজের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে ঘুমের মান উন্নত করা যায়। কাজ ও জীবনের মধ্যে সামঞ্জস্যতার অভাব মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা তৈরিতে ভূমিকা রাখে। যা বাজে ঘুমের অন্যতম কারণ।

জরিপে দেখা গেছে, যারা কাজ বা কর্মক্ষেত্র নিয়ে তৃপ্ত তাদের কাজ ও জীবনের সামঞ্জস্যতার ক্ষেত্রে বেশি নম্বর পেয়েছে।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স