কারাগার থেকে আরও ৩৬৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এরপর কারাগার থেকে ৩৬৯ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি ছিলেন।
হামাস পরিচালিত তথ্যকেন্দ্র জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে যুদ্ধ শুরুর সময় ৩৩৩ জনকে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েল। এ ছাড়া বাকি ২৬ জন আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে শনিবার তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- ইয়ার হর্ন, সাগি ডেকেল-চেন এবং আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ। তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের হাতে জিম্মি হন। এ সময় তাদের উপহার ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
একটি সূত্র জানায়, জিম্মি সাগুই ডেকেল-চেনকে তার মেয়ের জন্য অনন্য উপহার দিয়েছে হামাস। তিনি জিম্মি হওয়ার চার মাস পর কন্যাসন্তানের বাবা হন। মুক্তির সময় তার মেয়ের জন্য উপহার হিসেবে একটি স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছে তারা।
এর আগে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে জানুয়ারিতে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ৩ ইসরায়েলি বেসামরিক নারী মুক্তি পান। এ সময় ঘরে ফেরা বন্দিদের হাতে একটি করে ‘উপহারের’ ব্যাগও তুলে দেন হামাস যোদ্ধারা।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বন্দি অবস্থায় থাকাকালীন পণবন্দিদের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি রয়েছে ওই উপহারের ব্যাগে। জানা যাচ্ছে, গাজার মাটিতে যে দীর্ঘ সময় তারা কাটিয়েছিলেন, তার মধ্যে ভালো মুহূর্তগুলো যাতে স্মরণীয় হয়ে থাকে তার জন্যই এ উদ্যোগ হামাসের। এ ছাড়াও গাজা উপত্যকার একটি মানচিত্রও ছিল ওই উপহারের ব্যাগে।
ঠিকানা/এএস