উৎসবমুখর পরিবেশে প্রবাসে অন্যতম বড় আঞ্চলিক সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউইয়র্কের কুইন্সের ফ্ল্যাশিং মেডো’র করোনা উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রাম পার্কে ৫ আগস্ট শনিবার অনুষ্ঠিত এ বনভোজনে হাজারো প্রবাসী চট্টলাবাসী অংশ নেন। বাংলাদেশি কমিউিনিটির নেতৃবৃন্দেরও উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো।
দুপুরে সংগঠনের বিপুল সংখ্যক চট্রগ্রাম বাসীর করতালির মধ্যদিয়ে সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদেও অংশগ্রহণে বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের উদ্বোধন করা হয়।
সংগঠনের সাবেক এবং বর্তমান কর্মকর্তারা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য প্রদান করেন। সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহিম, সাবেক সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ এম রেজা, ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের নবনির্বাচিত সদস্য শাহাজাহান সিরাজী, আজীবন সদস্য আবুল কাশেম ভুঁইয়া, সাবেক সভাপতি সরোয়ার জামান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ রিজভী চৌধুরী, সাবেক উপদেষ্টা জসিম উদ্দীন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ জাফর, সাবেক নির্বাচন কমিশনার রুহুল আমিন হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুজিবুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, সাবেক কর্মকর্তা কামাল হোসেন মিঠু, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মফজল আহমদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার জয়নাল আবেদিন, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, আলী আকবর বাপ্পী, সৈয়দ করিম (মানু), মোহাম্মদ শওকত, দিলীপ বডুয়া, সাধন কর প্রমুখ।
এই বনভোজনের একটি গুরুত্বর্প্ণু দিক ছিল বনভোজনে অংশ নিতে কোনো চাঁদা দিতে হয়নি, যা প্রবাসে খুবই বিরল। ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতাসহ মহিলাদের পিলো পাসিং এবং পুরুষদের হাঁড়িভাঙা প্রতিযোগিতা ছিল অনেক উপভোগ্য। সারাদিন খেলাধুলা, খাওয়া দাওয়া ঘুড়ি উড়ানো ছাড়াও আকর্ষণীয় বিষয় ছিল র্যাফেল ড্র। মোট সতেরটি পুরস্কারের এই ড্র অনুষ্ঠানটিতে সকলের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
উল্লেখ্য, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি সকলের কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
বনভোজনে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা গিয়াস আহমেদ, ডেমোক্রেট ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলি মেম্বার জেনিফার রাজকুমারের প্রধান সহকারী (বাংলাদেশি লিয়াজোঁ) মোহাম্মদ আলী, কমিউনিটি নেতা হারুন ভুঁইয়া, আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আকাশ রহমান, সিপিএ শেখ ফরহাদ, কর্ণফুলি ট্রাভেলসের সত্ত্বাধিকারি মোহাম্মদ সেলিম হারুন, কর্ণফুলী ট্যাক্সের প্রতিনিধি মিস জিনিয়া, অ্যাটর্নি রুমা জান্নাতুল, রিয়েলটর সরোয়ার খান বাবু, লায়ন্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান জিলানী, রিয়েলটর মাসুদ সিরাজী, সুলতানা ও সমিরুল বাবলু প্রমুখ।
সাবির্ক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মনির আহমেদ, মেহবুবুর রহমান বাদল, মাকসুদুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু তাহের, তারিকুল হায়দার চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার, আহসান হাবিব, সুমন উদ্দীন, জে আবেদীন ও মোহাম্মদ হারুন।
বনভোজন কমিটির আহবায়ক আবুল কাসেম (চট্টলা) ও সদস্য সচিব মীর কাদের রাসেল, প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সেলিম ও সমন্বয়কারী ইকবাল হোসেন ভুইয়া উপস্থিত থেকে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানএবং ভবিষ্যতেও সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।


ঠিকানা রিপোর্ট


