কুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকা তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবদল নেতার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচথবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন।
নিহতের ভাই আবুল কালাম বলেন, ‘আমার বাবা গত ৪ দিন আগে মারা গেছেন। আমরা শোকে আচ্ছন্ন। আজ শুক্রবার বাবার কুলখানি অনুষ্ঠানের জন্য তৌহিদ গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসে। পরে রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি হঠাৎ আমাদের বাড়িতে আসে। তারা তৌহিদুল ইসলামের কাছে অস্ত্র আছে এমন অভিযোগে তাকে ধরে নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই কখনোই অস্ত্র আনতে পারে না। তার সম্পর্কে আমাদের পুরো এলাকা খুব ভালো করে জানে। আমরা বারবার বলার পরেও তারা নিয়ে যায় আমার ভাইকে। দুপুর ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আমাদের জানায় তাকে গোমতী পাড়ে উদ্ধার করেছে। সে নাকি হাসপাতালে আছে। পরে সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার লাশ পড়ে আছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘তৌহিদুলকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করে। শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি, সে মারা গিয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা তদন্তপূর্বক এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তৌহিদুলকে অসুস্থ অবস্থায় গোমতীর আইল থেকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. তানভির আহমেদ বলেন, ‘আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তৌহিদুল ইসলামকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দেখা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
ঠিকানা/এনআই