বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্র, মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে দেশের জনগণকে দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় সরকারব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েমের দিনটিকে স্মরণ করে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রদত্ত এক বার্তায় (ফেসবুক-স্ট্যাটাস) তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ব্যবস্থাকে গলাটিপে হত্যা করে বহুদলীয় ব্যবস্থার স্থলে একদলীয় সরকারব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে একপ্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাস করে।’
ওই সময় সব সংবাদপত্রের প্রকাশনা বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি পত্রিকা চালু রাখার ফরমান জারির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে তারা দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ভূলুন্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একদলীয় বর্বর শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে শুধু গণতন্ত্রই নয়, দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা (তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার) সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনোই সভ্য রীতি-নীতি অনুসরণ করেনি। তখন কারাগারই ছিল বিরোধী দলের ঠিকানা।
তারেক রহমান দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার চব্বিশের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার মিলিত দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
তিনি বলেন, ‘এখন যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।’
ঠিকানা/এনআই



ঠিকানা অনলাইন


