Thikana News
২৩ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বেবি কর্ন খাওয়ার উপকারিতা

বেবি কর্ন খাওয়ার উপকারিতা
ডায়াবেটিস, ওজন কমানো ছাড়াও নানান রকম উপকার মেলে বেবি কর্ন থেকে।

বেবি কর্ন হল কচি ভুট্টা। এটা খেতে যেমন মজাদার তেমনি স্বাস্থ্যকর।

আকারে ছোট হলেও এর পুষ্টিমান কম নয়। খাবার তালিকায় ভিটামিন, খনিজ ও স্বাস্থোপকারী উপাদান যোগ করা যায় এর মাধ্যমে।

খুব সহজেই যে কোনো রান্না, সবজি, সালাদ, ‘স্টির ফ্রাই’সহ নানান রকম খাবারে বেবি কর্ন যোগ করা যায়।

বাজার থেকে তাজা বেবি কর্ন এনে তা রেফ্রিজারেটে সংরক্ষণ করে কয়েক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এতে পুষ্টিমানে কোন তারতম্য ঘটে না।

উপকারিতা

হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে খাদ্য পরিকল্পক ও পুষ্টিবিদ অবনি কাউল বেবি কর্ন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানান।

ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ: বেবি কর্ন অত্যাবশ্যক ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ যা সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন বি যেমন- থায়ামিন, রিবোফ্লেভিন ও নায়াসিন বিশেষ উপকারী।

কাউল বলেন, “এসব ভিটামিন বি শক্তি উৎপাদন করে, স্নায়ুর কাজ স্বাভাবিক রাখে এবং চুল ও ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।”

পাশাপাশি এতে রয়েছে লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম- যা রক্ত কোষ ও পেশি সুস্থ রাখে এবং হৃদক্রিয়া উন্নত রাখতে সহায়তা করে।

ক্যালরির মাত্রা কম ও আঁশের মাত্রা বেশি: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কম ক্যালরি গ্রহণ করা আবশ্যক। সেক্ষেত্রে বেবি কর্ন খাওয়া উপকারী। কম ক্যালরিযুক্ত হওয়াতে খাবারের স্বাদ বাড়াতে যে কোনো খাবারেই বেবি কর্ন যোগ করা যায়।

এছাড়াও আঁশের মাত্রা বেশি থাকায় হজমে সহায়তা করে, পেট পরিষ্কার রাখে আর দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে অধিভোজন এড়াতে বেবি কর্ন খাওয়া উপকারী।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস: কাউল বলেন, “বেবি কর্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহ থেকে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল পরিশোধনে, জারণের চাপ ও প্রদাহ  কমাতে সহায়তা করে।”

এইভাবে বেবি কর্ন দেহকে দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন- হৃদরোগ ও নির্দিষ্ট ক্যান্সার থেকে বাঁচায়। এছাড়াও বেবি কর্ন খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শক্তি সরবারহ করে এবং সহজে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। 

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ চাইলে খাবার তালিকায় বেবি কর্ন যোগ করা উপকারী।

কাউল ব্যাখ্যা করেন, “বেবি কর্নের কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তের শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে। এর আঁশ যৌগ শর্করা শোষণ ধীর করে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই বেবি কর্ন ডায়াবেটিস রোগী ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য উপকারী।”

দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে: বেবি কর্নে আছে ক্যারোটিনয়েড যেমন- লুটেইন ও জিয়াক্সান্থিন, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

এসব যৌগ বয়সের কারণে হওয়া চোখের ক্ষতি- ‘ম্যাকুলার ডিজেনেরেইশন’ ও ক্যাটার‌্যাক্টস- এই দুই সাধারণ সমস্যা সৃষ্টি করে।  

খাবার তালিকায় বেবি কর্ন যোগ করা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায় যা চোখকে বাহ্যিক ক্ষয় ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।

হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে: বেবি কর্নে রয়েছে পটাসিয়াম ও আঁশ যা হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে। পটাসিয়াম দেহের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে হাইপারটেনশন ও হৃদসংক্রান্ত স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমে।

বেব কর্নে আঁশ থাকায় কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্ত প্রবাহ উন্নত করে আর হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।   

তাই বলা যায়, খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশপাশি দেহে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বেবি কর্ন বাছাই করা উপকারী।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স